savings

বিনিয়োগ করতে মাথায় রাখুন এগুলোও

আরও কিছু বিনিয়োগের ক্ষেত্র

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

আরও কিছু বিনিয়োগের ক্ষেত্র

Advertisement

ক) সোনা

বিনিয়োগের সবচেয়ে পুরনো পদ্ধতিগুলোর একটা হল সোনা কিনে রাখা। বাজারের আদিকাল থেকেই সম্পদ হিসেবে সোনার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কারণটা সহজ, সোনার দাম ধারাবাহিক ভাবেই সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে বাড়ে আর ভাঙাতে গেলেও চাপ নেই। সোনায় বিনিয়োগের নানা রকম উপায় রয়েছে বাজারে- গোল্ড ডিপোজিট স্কিম, গোল্ড ইটিএফ , সোনার বার এবং গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড। তিন মাস থেকে শুরু করে ৫-১০ বছর পর্যন্ত মেয়াদে সোনায় টাকা লগ্নি করা যায়। ঝুঁকির পরিমাণও মাঝারি থেকে কম।

Advertisement

খ) পোস্ট অফিস স্কিম

স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগের পরিকল্পনা থাকলে পোস্ট অফিস স্কিমগুলোর কথা ভাবতে পারেন। ভারতীয় ডাক ব্যবস্থার আওতায় মান্থলি ইনকাম স্কিম এই ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে সেরা। কম ঝুঁকিতে অনেক টাকা রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ দেয় এই মাসিক আয়ের স্কিম। এ ছাড়া রয়েছে রেকারিং ডিপোজিট এবং এফডি-র মতো ঝুঁকি-বিহীন আরও কিছু স্কিমও।

গ) রিয়েল এস্টেট বা আবাসন

এ দেশে আবাসন প্রকল্প বা রিয়েল এস্টেটে লগ্নিকে সবচেয়ে নিরাপদ উপায়গুলোর একটা বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চাহিদা কম ও জোগান বেশি হওয়ায় রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগে ভাল আয় হয়নি বটে, তবে তা এর জনপ্রিয়তাও কেড়ে নিতে পারেনি। এই ধরনের লগ্নিতে ঝুঁকির পরিমাণ মাঝারি থেকে বেশির দিকে।

ঘ) কোম্পানি ফিক্সড ডিপোজিটস

ব্যাঙ্কে রাখা মেয়াদী জমায় সাধারণত রিটার্নের পরিমাণ বেশি নয়। বরং আর এক ধরনের মেয়াদী জমা কোম্পানি ফিক্সড ডিপোজিট, একই পদ্ধতিতে টাকা রেখেও রিটার্ন দেয় আরও বেশি। তবে কোম্পানি ডিপোজিটে কোনও ধরনের বিমার সুযোগ নেই এবং তা আরবিআই (রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া) নিয়ন্ত্রিতও নয়। তবে যাঁরা বেশি সময়ের জন্য টাকা লগ্নি করতে এবং একই সঙ্গে কিছুটা ঝুঁকি নিতেও আগ্রহী, তাঁদের পক্ষে উপযোগী। টাকা ফেরত না পাওয়ার দুর্ভাগ্য অবশ্য হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে। ফলে এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগে ঝুঁকির পরিমাণ কম থেকে মাঝারি।

ঙ) ইউনিট লিঙ্কড ইনশিওরেন্স প্ল্যান (ইউলিপ)

এই উপায়ে বন্ড এবং ইক্যুইটিতে টাকা লগ্নি করার পাশাপাশি বিমার সুরক্ষাও মেলে। এই প্ল্যানে আপনার টাকার কিছুটা আপনারই নির্ধারিত স্টক ও বন্ডে লগ্নি করা হয়। বাকি অংশ প্রিমিয়াম হিসাবে যায় বিমার জন্য। কিছুটা ঝুঁকিও আছে, কারণ শেয়ার ও ঋণপত্রে লগ্নি হয় আপনার টাকা। তবে কিছু প্ল্যান আছে শুধু বন্ডেই টাকা লগ্নি করে। ফলে ঝুঁকি ও রিটার্ন দুই-ই খুব কম তাতে।

চ) ইনভেস্টমেন্ট ইন বন্ড

এখনও সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগের উপায়গুলোর একটা নিঃসন্দেহে বন্ডে টাকা রাখা। অনেক বন্ড খুব কম টাকা সুদ দেয় এবং বহু বন্ডই সরকারি উদ্যোগে বাজারে রয়েছে। ফলে ঝুঁকির পরিমাণ স্বাভাবিক ভাবেই কম। কিছু বন্ডের রিটার্নে কর-ছাড়ের সুবিধাও রয়েছে, যা বিভিন্ন সময়ে বাজারে ছাড়া হয়।

ছ) ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট

অত্যন্ত নিরাপদ বিনিয়োগ। তবে রিটার্ন কম এবং সম্পূর্ণ ভাবে আয়করের আওতায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement