প্রতীকী ছবি
এ আবার কী? এই তো বাহাত্তুরের অঙ্ক দেখলাম। এখন আবার অন্য কথা কেন? আছে। কারণ আছে। আসলে এই চক্রবৃদ্ধির অঙ্কটাই ঝামেলার। সত্যি কথা বলতে কী, চক্রবৃদ্ধির অঙ্কটা তো স্কুল থেকেই আমাদের ঝামেলায় রেখেছে। আর এই অঙ্ক করতে সেই ক্যালকুলেটরহীন পরীক্ষার হলে তো লগটেবিল ব্যবহার করতে হত। আর সেই টেবিল পড়তে শেখাটাও ছিল এক ঝঞ্ঝাটের ব্যাপার।
আসলে তখনও ছিল। এই চটজলদি অঙ্ক করার বুড়ো আঙুলের নিয়ম। কিন্তু এতে শুধু আন্দাজ পাওয়া যায়। একদম সঠিক উত্তর পাওয়া যায় না। তাই পরীক্ষায় কাজে না লাগলেও আমাদের দৈনন্দিন অঙ্ক কষতে, সঞ্চয়ের লাভের অঙ্ক কষতে এই সব সূত্র বেশ কাজের। আর বৃদ্ধির অঙ্কটা বাৎসরিক চক্রবৃদ্ধির থেকে বেশি ঝামেলার কারণে বাড়তে থাকে ক্রমাগত। বছরে একবার করে নয়। তাই সত্তরের সূত্র অনেক ভাল আন্দাজ দেয় কতদিনে দ্বিগুণ হবে তা বুঝতে। এটা বুঝতে আমরা ছয় মাসের বা বছরে দু'বার চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পাওয়ার উদাহরণ নিচ্ছি বোঝার সুবিধার জন্য।
আসুন একবার বুঝে নেওয়া যাক। বাহাত্তরের সূত্রে আমরা দেখে নিয়েছি তার অসুবিধাগুলো। এই সূত্রের অন্যতম অসুবিধা হল চক্রবৃদ্ধি সুদ বা বৃদ্ধি যদি ছয় মাসের হয় তা হলে ওই সূত্র দাঁড়াবে না। তখন আমাদের লাগবে সত্তরের সূত্র।
উদাহরণ নেওয়া যাক। ধরা যাক আপনি বছরে দু'বার ৪ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ পাচ্ছেন। বাহাত্তরের সূত্র ব্যবহার করলে পাচ্ছি ৭২/৪ = ১৮ বছর।
এই বার সত্তরের সূত্র দিয়ে এই অঙ্ক দাঁড়াচ্ছে ৭০/৪ = ১৭.৫ বছর।
আর এ বার যদি চক্রবৃদ্ধির সূত্র ব্যবহার করে দেখি তাহলে একদম ঠিক সময়টা আসছে ১৭.৫০১ বছর।
তা হলে এ ক্ষেত্রে সত্তরের সূত্রটা অনেক ভাল আন্দাজ দিচ্ছে। তবে কী, আপনি যদি এমন বিনিয়োগ করেন যেখানে সুদ বাবদ প্রাপ্তি ক্রমাগত পুনর্বিনিয়োগ হয়ে চলেছে তাহলে ৭০এর বদলে বেছে নিন ৬৯। অনেক বেশি ঠিক উত্তর পাবেন।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।