প্রতীকী ছবি
চাকরি জীবনের মেয়াদ শেষ হয়ে এলেই নানা রকম দুশ্চিন্তা মাথায় আসতে থাকে। তাই সময় থাকতেই এই সংক্রান্ত পরিকল্পনা করে রাখা উচিত। প্রথমে দেখে নিন আপনার অবসরের আর কত দিন বাকি? তার পরে দেখুন আপনার হাতে কত টাকা আছে? সেই মতো হিসেব করে রাখুন।
অবসর জীবনে পেনশন হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কিন্তু কোথায় বিনিয়োগ করলে সর্বোচ্চ লাভ বা সবচেয়ে বেশি পেনশন পাওয়া যাবে? এর একটাই উত্তর, ‘এনপিএস বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম’। দীর্ঘমেয়াদে এই পেনশন স্কিমের জুড়ি নেই। সরকারি তো বটেই, বেসরকারি কর্মচারীরাও এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। মেয়াদ শেষে বিনিয়োগের একটা অংশ হাতে আসার সঙ্গে বাকিটাও ব্যবহার করা হয় পেনশন হিসেবে।
অবসরকালীন বিনিয়োগের জন্য সেরা স্কিম এনপিএস। এটি যত কম বয়সে শুরু করা যায়, তত ভাল। ঠিকঠাক বিনিয়োগ করলে এনপিএস থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাওয়া যায়। কিন্তু কী ভাবে?
ধরা যাক, একজন বিনিয়োগকারী ৪০ বছর বয়সে এনপিএস স্কিমে বিনিয়োগ শুরু করলেন। তা হলে তাঁর বিনিয়োগের মেয়াদ (অবসরের বয়স ৬০ বছর ধরে) ২০ বছর। ১ লাখ টাকা মাসিক পেনশনের জন্য প্রতি মাসে ৬৬ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১.৫৮ কোটি টাকা। বার্ষিক ১০ শতাংশ রিটার্ন ধরলে লাভ হবে ৩.৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০ বছর পর এনপিএস ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫.০৫ কোটি টাকা। মেয়াদপূর্তির পর মোট টাকার ৬০ শতাংশ তুলে নেওয়া যায়। অর্থাৎ ৩.০৩ কোটি টাকা এক সঙ্গে হাতে আসবে। বাকি পড়ে থাকবে ৪০ শতাংশ বা ২.০২ কোটি টাকা। এই টাকা থেকে ৬ শতাংশ বার্ষিক সুদ পেলে প্রতি মাসে ১.০১ লক্ষ টাকা পেনশন হাতে আসবে।
এনপিএসেও বেশ কিছু সুবিধা আছে। যে কোনও সময়েই এই বিনিয়োগ শুরু করা যায়। চাইলে বিনিয়োগের পরিমাণ পরিবর্তনও করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। অন্যান্য স্কিমের তুলনায় এনপিএসে রিটার্নও অনেক বেশি আসে।
‘টাকা টক্’-এর প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড’।
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।