অ্যাক্টিভ এবং অটো চয়েস, এই দুই ভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস অর্থাৎ অবসরের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এখন থেকেই। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীরা নিশ্চিন্তে থাকলেও বেসরকারি কর্মীদের জন্য ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তা হলে তাঁদের জন্য বিকল্প উপায় কী? ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম, যা একাধারে লাভজনক এবং সুরক্ষিত বিনিয়োগ প্রকল্প।
বিনিয়োগের চারটি ভাগ রয়েছে এতে – ইক্যুইটি, কর্পোরেট ডেট, গভর্ন্যান্স বন্ড এবং অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। অ্যাক্টিভ এবং অটো চয়েস, এই দুই ভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। নিজের বেতনের একটি অংশ এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে অবসরের পর মোটা অঙ্কের রিটার্ন পাওয়া যায়।
এ বার বরং রিটার্নের একটু হিসাব কষে ফেলা যাক। ধরুন আপনি অবসরের পর মাসিক ৭৫ হাজার টাকা পেনশন পেতে চান। তা হলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে মাসিক ১০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ অবসরের পর মাসিক ৭৫ হাজার টাকা পেনশনের জন্য মোট ৩.৮ কোটি টাকা থাকতে হবে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম অ্যাকাউন্টে।
সুতরাং, ২৫ বছর বয়স থেকেই মাসিক ১০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। এর ফলে ৬০ বছর বয়সে বিনিয়োগের মেয়াদ পূরণ হওয়ার পর মাসে ৭৬ হাজার ৫৬৬ টাকা হাতে পাবেন আপনি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য মাথায় রাখতে হবে, বিনিয়োগের মেয়াদ পূরণের পরে একলপ্তে পুরো টাকা তুলতে পারবেন না বিনিয়োগকারী। মোট মূলধনের ৪০ শতাংশ কোনও জীবন বিমা প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।