Personal Finance 2023

শুধু দেশেই বিনিয়োগ কেন, বিশ্ব বাজার যখন হাতের মুঠোয়?

চিনের বাজার ২০২২ সালে প্রায় ২০ শতাংশ এবং মার্কিন বাজার ২৫ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। ইউরোপের বাজারের ক্ষেত্রে যদি মহাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে জার্মানির সূচক ডিএএক্স বা চলতি কথায় ড্যাক্স–এর কথা বলি, তা হলে তা অল্প হলেও বছর শেষ করেছে শুরুর তুলনায় নীচেই।

Advertisement

প্রসূনজিত মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি

শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চান। কিন্তু দেশের বাজারে মন ভরে না। বিশেষ করে যখন বিদেশি বড় সংস্থার আরওবড় হওয়ার কথা শোনেন। সুযোগ হারাচ্ছে মনে করে হাত কামড়ান হয়তো। অথবা ভাবেনইনি বিদেশের বাজারেরকথা।হয়তো তা এটা জেনেই যে, বেশ কিছু সময় ধরে ভারত এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে অনেকের তুলনায়। চিনের বাজার ২০২২সালে প্রায় ২০ শতাংশ এবং মার্কিন বাজার ২৫ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। ইউরোপের বাজারের ক্ষেত্রে যদিমহাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে জার্মানির সূচক ডিএএক্স বা চলতি কথায় ড্যাক্স–এর কথা বলি, তা হলে তা অল্প হলেও বছর শেষ করেছে শুরুর তুলনায় নীচেই। গত বছর ব্রিটিশ বাজার (যার সূচককে চলতি কথায় ফুটসি বলে)অল্প লাভে বছর শেষ করলেও উল্লেখযোগ্য ভাবে মার্কিন ডলারের তুলনায় ব্রিটিশ পাউন্ডের বাজারপড়েছে বছর জুড়ে। আর এই সব কিছুই বিনিয়োগের জগতে ভারতকে করে তুলেছে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

Advertisement

এত কিছু জানেনই না? যে কোনও কারণেই হোক বিশ্ববাজারের তথ্য আপনার কাছে অধরাই রয়ে গিয়েছে?অথবা বাজার বিগড়োলে বা প্রয়োজনে চট করে বিদেশি শেয়ার বেচে টাকা ঘরে তুলতে পারবেন না ভেবে ভয় পেয়েছেন? কিংবা ভারতে বিকল্পগুলি আসলে জানেনই না? বা ভেবে নিয়েছেন যে ভারতের বাজারের ধারেকাছে আরকোনও বাজার আসেই না! কারণ যাই হোক না কেন, মাথায় রাখুন বিনিয়োগ করতে হলে যেখানে লাভের সুযোগ,টাকা সেখানেই ঢালা বুদ্ধিমানের কাজ।বিশ্বের দু’টি বৃহত্তম ইক্যুইটি বাজারের কথা ভাবুন। প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের (ডলার পিছু ৮২ টাকাধরলে যা প্রায় ৩২৮০ লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়ায়) বাজার মূলধন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কার্যত বিশ্বেরবৃহত্তম। বিশ্বের তাবড় সংস্থা মুলধনী বাজারের বিভিন্ন পথে এই বাজারে হাজির।বা চিনের বাজারের কথাই ভাবুন। প্রায় ১৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের (১৩১২ লক্ষ কোটি টাকার মতোন) বাজারমূলধনের সঙ্গে এঁটে ওঠা চাট্টিখানি কথা নয়! ব্যাঙ্ক, খনি, ধাতু, ফার্মা এবং পেট্রোকেমিক্যালের মতো বিপুলসংখ্যক সংস্থার বাজারে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দিচ্ছে চিন। পাশাপাশি, হয় সাংহাই নয়তো হংকংয়ে তালিকাভুক্তথাকা এই সংস্থাগুলির শেয়ার ও ডিবেঞ্চার ট্রেডিংয়ে বিশ্ববাজারে বেশ ভাল ভাবেই নিজেদেরকে তুলে ধরেছে।ফলত, এটি এমন একটি বাজার যে, এখানের ব্যবসাকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। এই বাজারের সুযোগই বানেব না কেন?এর পর এটিকে ভারতীয় ইক্যুইটি বাজারের সঙ্গে তুলনা করুন, যার বাজার মূলধন ৩.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার(২৮৭ লক্ষ কোটি টাকা)। যদিও বাজার মাপতে যে যে অনুপাত এবং সূচক দেখা হয়ে থাকে, সেই সব অঙ্কেবিনিয়োগের গন্তব্য হিসাবে ভারত বেশ আকর্ষণীয় । আগামী বছরগুলিতেও এমনটা বজায় থাকবে বলে মনে করাহচ্ছে। তবে বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। আমরা কি জানতাম যে কোভিডের ছোবল এ ভাবে আমাদেরকাত করে দেবে? তবে এটা আশা করাই যায় যে সব কিছু ঠিকঠাক চললে ভারতের অর্থনীতি অন্য অনেক দেশেরতুলনাতেই ভাল জায়গায় থাকবে।

তবে পাশাপাশি, অন্য দেশে বিনিয়োগের সুযোগই বা আমরা হারাব কেন? এবং তা যদি মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমেকরা যায়? মিউচুয়াল ফান্ডের মজাটাই হল একই সঙ্গে এক বিনিয়োগে অনেক সুযোগের ব্যবহার। যেমন, ঋণপত্রও শেয়ারের মিশেল। আর এরই মাধ্যমে বিদেশি বাজারে বিনিয়োগের সুযোগও রয়েছে। আপনার প্রাথমিক ভাবে যাজানার, তা হল এগুলি কেনা বা ভাঙানোর পদ্ধতি প্রথাগত মিউচুয়াল ফান্ডের মতোই। আর বিদেশে বিনিয়োগেরআর একটা সুবিধা হল বিদেশের বাজার পড়লেও দেখলেন হয়তো টাকার দাম কমে যাওয়ায় আপনার বিনিয়োগের অর্থটাকার মূল্যে কমল তো না-ই, উল্টে বেড়েই গেল হয়তো!

Advertisement

প্রতিবেদক সঞ্চয় উপদেষ্টা। বক্তব্য নিজস্ব।

বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement