কথাসরিৎ-এর একাদশ আবৃত্তি উৎসব হয়ে গেল তিন দিন ধরে। সূচনা করলেন কল্যাণ সেন বরাট। প্রথম দিন শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন বিজয়লক্ষ্মী বর্মন, কাজল সুর, সুমন্ত্র সেনগুপ্ত প্রমুখ তাঁদের একক আবৃত্তিতে।
দ্বিতীয় দিনে প্রণতি ঠাকুর, উৎপল কুণ্ডু প্রমুখের একক আবৃত্তি নজর কাড়ে। শেষ দিনে সমবেত আবৃত্তি ‘এসো বোসো আহারে’ মনে বেশ দাগ কাটে।
এর পরে জগন্নাথ বসু ও উর্মিমালা বসুর শ্রুতিনাটক প্রাণ ভরিয়ে দেয়।
শেষ দিনের শেষ পর্বে ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর একক আবৃত্তিতে মাত করে দিলেন অনুষ্ঠান। বিভিন্ন কবির কবিতাগুলি অনন্য হয়ে ওঠে শিল্পীর কণ্ঠে। সঞ্চালনায় ছিলেন শোভন সেন।
ভাল-মন্দ মিলিয়ে
পিনাকী চৌধুরী
সম্প্রতি শিশিরমঞ্চে অনুষ্ঠিত হল সৃজনসন্ধানীর ‘প্রণাম’ শীর্ষক গান ও কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর অনুষ্ঠান শুরু হল।
প্রথমেই ছিল সম্মেলক সঙ্গীত। ‘নয় নয় এ মধুর খেলা’ বেশ ভাল লাগে। পরের শিল্পী ছিলেন রণজয়ব্রত রায়। তিনি গাইলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘দোলাও দোলাও’। সুগীত, তবে পরের গানগুলিতে শিল্পীর নিবেদনে ক্লান্তি প্রকাশ পেয়েছে। এ দিন সংঘমিত্রা চক্রবর্তীর ‘তুমি আমায় ডেকেছিলে’ এবং ‘হৃদয়ের একূল ওকূল’ গান দুটি শ্রোতাদের প্রত্যাশা পূরণ করে।
স্বপন বসুর পাঠে রবীন্দ্র-কবিতা ‘কৃপণ’ অন্য মাত্রা পায়। বেশ চর্চিত কণ্ঠ। নয়ন বসুর ‘ঘুণপোকা’ শ্রোতাদের মোহিত করে।
শেষে সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান ‘জগৎ জুড়ে উদার সুরে’ এবং ‘সুন্দর বটে তব’ বেশ দরদ দিয়ে গাওয়া।
কৃষ্ণ ও গোপিনীর ছলা-কলা
সম্প্রতি জ্ঞানমঞ্চে অনুষ্ঠিত হল ঝিনুক মুখোপাধ্যায়ের ভরতনাট্যম নৃত্য। এ দিনের অনুষ্ঠানে শিল্পী পরিবেশন করলেন চারটি নৃত্যপদ। প্রথমটি ছিল ‘মল্লারি’, যেখানে ব্যবহৃত হয়েছে রাগ গম্ভীর নাটৈ, তাল খন্ডচাপু। দ্বিতীয় নৃত্যটি ছিল ‘নবরস’। সবশেষে ছিল মোহন কল্যাণী রাগে আশ্রিত আদি তাল নিবদ্ধ ‘পদম’। বৃন্দাবন, ভগবান কৃষ্ণ ও গোপিনীদের মধ্যেকার ছলা-কলা ছিল এই পদের মূল বিষয়বস্তু।
গানের ভুবনে
সম্প্রতি ‘গানের ভুবন’ আয়োজিত আসরে দ্বিজেন্দ্রগীতি শোনালেন দীপান্বিতা সেন। তিনি শোনালেন ‘চাহি অতৃপ্ত নয়নে’, ‘আমরা এমনি এসে’ প্রভৃতি চোদ্দোটি গান। সঞ্চালনায় ছিলেন বংশীবদন চট্টোপাধ্যায়।