শাড়ি পরা এমনিতেই ধাতে নেই আপনার। কিন্তু এই এখনই একের পর এক বিয়েবাড়ি। যেই ভেবেছেন সাধের সিল্কটা পরবেন, অমনি বিপত্তি। শাড়ির সঙ্গে কি আর একটু হিল না পরলে চলে? কিন্তু হিল পরার অন্যতম শত্রু পা ফাটা। ফাটা পা শুধু মাত্র সৌন্দর্যে কাঁটা, এমনটা নয়। এটি এক ধরনের শারীরিক সমস্যাও। শারীরচর্চায় বাকি অঙ্গের যেমন খেয়াল রাখেন, তেমনই অবহেলিত পায়ের দিকেও নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি।
সমস্যার উৎস
সাধারণ ভাবে পায়ের ত্বকে অয়েল গ্ল্যান্ড থাকে না। ফলে পা শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও বেশি। সেটাই পা ফাটার প্রথম উৎস। তাই পায়ের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি রোজ নিয়ম মেনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়াটাও দরকার।
নিত্যকার চর্চা
পা পরিষ্কার রাখার জন্য ঘরে মজুত জিনিসই যথেষ্ট। ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য শ্যাম্পু বা সাবান গুলে অন্তত কুড়ি মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এ বার লুফা, স্ক্রাবার বা পিউমিস স্টোন দিয়ে ঘষে শক্ত হয়ে যাওয়া পায়ের চামড়া তুলে ফেলুন। পা শুকিয়ে নিয়ে হিল বাম বা ময়শ্চারাইজার লাগান। এর উপর লাগান পেট্রোলিয়াম জেলি। এতে ময়শ্চারাইজার লক হয়ে যাবে, অর্থাৎ ঘষা লাগলে উঠে যাবে না। সবশেষে সুতির মোজা পরে সোজা বিছানায়!
আরও এক ধাপ
এ ছাড়াও যদি আরও একটু এগোতে চান, তা হলে হাতিয়ার করুন ঘরোয়া কিছু উপাদান।
• হালকা গরম জলে বেশ খানিকটা নুন বা সৈন্ধব লবণ, দশ ফোঁটা লেবুর রস, এক টেব্ল চামচ গ্লিসারিন, এক চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে পনেরো-কুড়ি মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পিউমিস স্টোন বা স্ক্রাবার দিয়ে পা ঘষে নিন। একটি বাটিতে এক চা চামচ গ্লিসারিন, এক চা চামচ গোলাপজল, এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটা আঠালো মিশ্রণ তৈরি করে পায়ের ফাটা অংশে লাগান। তার উপরে মোজা পরে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে গরম জলে পা ধুয়ে নিন।
• গরম জলে এক কাপ মধু মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন। মধু পা ফাটার জন্য প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক।
• রাতে শোওয়ার আগে পা ধুয়ে, শুকিয়ে দু’ টেব্ল চামচ ভেজিটেবল অয়েল মাসাজ করে, মোজা পরে নিতে পারেন।
• এক টেব্ল চামচ গুঁড়ো করা ওটমিলের সঙ্গে চার-পাঁচ ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। সেটা পায়ের ফাটা অংশে আধঘণ্টা লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা জলে ঘষে, তুলে ফেলুন।
একটু সচেতনতা, রোজকার খেয়ালই আপনাকে রেহাই দিতে পারে শীতকালীন এই পা ফাটা থেকে।