ত্রিস্তর সীমানাতেও ত্রয়ীর ত্রস্ততা

নিজস্ব সীমানায় সাবলীল হতে গিয়েও যেন আটকে যাচ্ছেন। চর্চার ধারাবাহিকতা থেকে সরে গেলে এমন হয়। নিয়ত আঁকড়ে থাকা এ সব অনুশীলন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে। যা কারও মধ্যে খুব বেশি অনুভূত হল না।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৮ ২২:০৪
Share:

চিত্রকলার ক্ষেত্রে শুধু নয়, যে কোনও সৃষ্টি-নির্মাণেই কিছু শর্ত থাকে। তা সে প্রয়োজন, নিয়ম, আবশ্যিকতা, কর্তব্য যা-ই হোক না কেন। শিল্পী সব সময়ে সে সব মনে রেখে কাজ করেন না। ‘প্রয়োজনে এটুকু করেছি’ এ ভাবেও কেউ ব্যাখ্যা দেন। কোথায় থামতে হবে বা আর কিছুটা কাজ করতে হবে, সে ভাবনা বা চেতনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। অনেকে ভয়ে একটা জায়গায় কাজটাকে ছেড়ে দেন— পরিসরটাই তখন তাঁর কাছে তেপান্তরের মাঠ। দ্রুত কোনও ভাবে ছেড়ে দিলেই ভাল। এই ত্রস্ততা ‘রিফ্লেকশন ট্রায়ো’র তিন শিল্পীর মধ্যেই কাজ করেছে। সম্প্রতি প্রদর্শনীটি হল অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে।

Advertisement

নিজস্ব সীমানায় সাবলীল হতে গিয়েও যেন আটকে যাচ্ছেন। চর্চার ধারাবাহিকতা থেকে সরে গেলে এমন হয়। নিয়ত আঁকড়ে থাকা এ সব অনুশীলন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে। যা কারও মধ্যে খুব বেশি অনুভূত হল না। তবু তিন শিল্পী নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি মতো কাজগুলি উপস্থাপিত করার চেষ্টা করেছেন যথাসাধ্য।

পবিত্র সাহার কাজে গ্রাফিক কোয়ালিটি অনুভূত হয়। হঠাৎ এক ধরনের তন্ত্রসদৃশ কম্পোজিশনের ধারণাকে ভেঙে একটা নিজস্ব আঙ্গিক তৈরি করেছেন, যা খুবই জ্যামিতিক। এখানে ধর্ম, আধ্যাত্মিকতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে, ঈশ্বরীয় ভাবনাকে প্রতীকী অর্থে আসল লক্ষ্য বলে বোঝাতে চেয়েছেন। ঈশ্বরকে নিয়ে সব ধর্মে কেন এত আয়োজন— এই প্রশ্নেরই বাণে তিনি বিদ্ধ। চৌকো পটের মাঝখানে লাল গোল অংশের মধ্যে পদ্ম ও নৌকাসদৃশ রূপকে ঈশ্বর হিসেবে দেখিয়েছেন সাদা রেখার ছোট্ট প্রতীকে। চার দিকে সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতি ও বন্দনা। সকলেই তাঁকে চান। কিন্তু ‘ঈশ্বর কি মৃত?’ ছবিতে এ প্রশ্ন তুলেছেন শিল্পী। চার-পাঁচটি রংকে জ্যামিতিক বিভাগে ভাগ করে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, বৌদ্ধ স্তূপ। আবার দু’টি ধর্মের লড়াই চলেছে পৃথিবীব্যাপী— ফুটবলমাঠের প্রতীকে যা বোঝানো হয়েছে। ধর্ম ও ঈশ্বরকে মাঝখানে রেখে এই খেলা পরিচালনা করছে আমেরিকা, আসল লক্ষ্য হল ‘ক্ষমতায়ন’। এখানে বিশ্ব-রাজনীতির অন্তর্কলহ ও সাম্রাজ্যবাদের ভাবনাকে কিছুটা ব্যক্ত করেছেন ওই প্রতীকী অর্থে এবং নিজস্ব স্টাইলাইজেশনে। অ্যাক্রিলিকে বিন্দুবাদের জমাট আবহে টোন তৈরি করে, বিভাজন করেছেন ফর্ম। সাদা রেখায় বয়স্ক মানুষের অবলম্বনের প্রধান কয়েকটি উপকরণ, কিছু প্রতিকৃতি, এমনকী আরাধ্য ক’টি মুহূর্তকেও রূপ দিয়েছেন। তবুও কিছু জায়গায় শঙ্কিত হয়ে, কাজ না করে, স্পেস ছেড়ে দিলেন কেন— বিশেষত, সাদা লাইন ড্রয়িংয়ের চাহিদা তৈরি করেও? বিষয়টি স্পষ্ট হল না।

Advertisement

মলয় সাহা জলরঙে ছোট্ট নিসর্গ আঁকতে গিয়ে, স্পেসের গুরুত্বের দিকে সে ভাবে খেয়াল করেননি। যেখানে ওঁর পটের বিস্তার তথা আলো-বাতাস খেলার জায়গা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল— হঠাৎ তাকে বদ্ধ জায়গায় আটকে দিলেন। সুনীল জলরাশির ফেনিল উচ্ছ্বাস, আকাশ ও তাতে মেঘেদের ধেয়ে আসার বিপদ-সংকেত, পাহাড়, ফুলগাছ, আলোর ঠিকরে পড়া সৌন্দর্য ও অন্ধকারের মজা শুধু সংক্ষিপ্ত রূপারোপের জন্যই পরিসর পেল না। জলরংকে নুন দিয়ে ফাটিয়ে টেক্সচারের নয়নাভিরাম অবস্থাও স্পেসের কার্পণ্যে কোথাও যেন মার খেয়েছে এ ক্ষেত্রে। এখানেও গোচরে আসে সেই একই রকম ত্রস্ততা। এত সীমাবদ্ধতায় টেকনিক ঠিক দাঁড়াবে কোথায় গিয়ে?

একই ভয় কাজ করেছে পিউকা ঘোষের ছবিতেও। বড্ড বেশি রঙের উজ্জ্বলতা কোথাও যেন তাঁর ছবিকে প্রকট করে তুলেছে। ফলে কম্পোজিশন, সামগ্রিক ভাবে দুর্বল স্টাইলাইজেশন ক্যানভাসকে এক কমার্শিয়াল প্যাটার্নে নিয়ে যাচ্ছে ও হারিয়ে যাচ্ছে পেন্টিং কোয়ালিটি। একই নারীর নানা রূপ সম্পূর্ণ ভেঙে যাচ্ছে ‘ফ্রিডম’-এ এসে। ‘বার্থ অব কংক্রিট’ কাজটিতে পটভূমির ডিজাইন কোয়ালিটি নারীর কম্পোজিশনের সঙ্গে বেমানান। যেন ভয়ে ভয়ে একটা জায়গায় কাজগুলো শেষ করে দিচ্ছেন। এমন দ্বিধাগ্রস্ততায় কোনও শিল্পই বাঁচার রসদ পায় না।

অতনু বসু

মনোজ্ঞ সন্ধ্যার প্রাপ্তি স্বাদু পরিবেশন

সৌম্যেন সরকার

স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত

সম্প্রতি আইসিসিআর-এ রবিছন্দমের চতুর্থ বর্ষে উদযাপিত হল ‘মানসী স্মরণে’। অনুষ্ঠানের শুরুতে চারটি সম্মেলক গান দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন রবিছন্দমের ছাত্রছাত্রীরা। পরিচালনায় ছিলেন অলক রায়চৌধুরী এবং গানগুলি ছিল ‘তার হিসাব মিলাতে’, ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’, ‘আমার মাথা নত করে’ ও ‘আগুনের পরশমণি’। গানের মান ছিল ভাল। কিন্তু সম্মেলক গানে পুরুষের সংখ্যা মহিলাদের চেয়ে অনেক কম হওয়ার ফলে ছেলেদের কণ্ঠ প্রায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। এ দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।

এই অনুষ্ঠানে একটি অভিনব সংযোজন হল— দ্বৈত সঙ্গীতে যাঁরা অংশগ্রহণ করলেন, তাঁরা সকলেই স্বামী-স্ত্রী। এই বিভাগে ছিলেন সুমন ও দেবশ্রী, অ্যারিনা ও শীর্ষ এবং স্বাতী ও স্বরূপ। সুমন ও দেবশ্রীর কণ্ঠে ‘ভুবনেশ্বর হে’ প্রশংসনীয়। অ্যারিনা ও শীর্ষের কণ্ঠে ‘বিপুল তরঙ্গ রে’ ও নজরুলগীতি ‘এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে, এই তো নদীর খেলা’ এই দু’টি গানের কোলাজ ভাল লাগল। স্বাতী ও স্বরূপ পরিবেশন করলেন ‘শ্যামা’ গীতিনাট্যের অংশবিশেষ। দ্বৈত সঙ্গীতের উপস্থাপনা আরও বেশি হলে অনুষ্ঠান আরও আকর্ষণীয় হত।

অলক রায়চৌধুরী তাঁর মাতৃদেবীকে স্মরণ করে নিবেদন করলেন ‘আমার মায়ের মুখের হাসি’, ‘বড় একা লাগে’ ও ‘ও রে আমার মন, কীসের তরে দেয় না ধরা ভালবাসার ধন’। শেষ গানটি বিশেষ ভাবে মন ছুঁয়ে গেল। যদিও তাঁর কণ্ঠে এই ক’টি গান শুনে মন ভরেনি। কোথাও প্রত্যাশা অপূর্ণ রয়ে গেল।

স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত অনুষ্ঠান শুরু করলেন ‘মাতৃবন্দনা’ দিয়ে। সুরঋদ্ধ কণ্ঠের অধিকারিণী তাঁর অনুষ্ঠানের সূচনায় যে আবহ সৃষ্টি করলেন, সেটি নিজের সুরে রবীন্দ্রনাথের লেখা গানে রইল না। বুঝতে পারলাম না, নামী শিল্পীর গান পরিবেশনের সময় শব্দের উৎপীড়ন বেড়ে গেল কেন?

দর্শক-শ্রোতারা আশা করেছিলেন, রবীন্দ্রগানে পারদর্শিনী এই শিল্পী আরও কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনাবেন। সে আশা পূরণ হল না।

অলক রায়চৌধুরী তাঁর স্বভাবসিদ্ধ বাচনভঙ্গিতে অনুষ্ঠানটি ঘরোয়া করে তুললেও, স্বাগতালক্ষ্মীর স্বরচিত গল্প পাঠ ‘আমার পতাকা’ এই অনুষ্ঠানে বেমানান লেগেছে।

জেরা নিয়ে জেরবার

সুকোমল ঘোষ

নাটকের একটি দৃশ্য

বিজ্ঞাপনে ছিল ‘প্রাপ্তমনস্কদের জন্য’। প্রচলিত অভিধানে কথাটার মানে পেলাম না। নাটক দেখার পর মানে বুঝতে পারলাম— কারণে-অকারণে বিশ্রী গালাগালের ব্যবহারকে সহ্য করার মানসিকতা।

নাটকের পটভূমি কোনও সীমান্তবর্তী জঙ্গলের মধ্যে একটি থানা। তুমুল বৃষ্টিতে জঙ্গলে ধাওয়া করে এক ব্যক্তিকে ধরে আনে সেই থানার কনস্টেবলরা। বড়বাবুর জেরায় ধৃত ভদ্রলোক নিজেকে ‘লেখক তরুণ অধিকারী’ বলে পরিচয় দেন— যিনি বড়বাবুর প্রিয় লেখক। বড়বাবু ওই লেখকের একটি রচনার অংশবিশেষ মুখস্ত বলে দেখেন যে, মানুষটির কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। অর্থাৎ উনি মিথ্যে পরিচয় দিয়েছেন। কোনও এক খুনের ঘটনার সঙ্গে লোকটিকে জড়িত সন্দেহ করা হয়। পর্দার আড়ালে সেই লোকটির গলায় খুনের আভাসও পাওয়া যায়। তখন অল্পবিস্তর মারধর করাও হয়। তার পর হঠাৎই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বড়বাবু, ভদ্রলোক হুইস্কি নিয়ে বসেন। তার পরেই ভদ্রলোকের সসম্মান মুক্তি মেলে।

নাটকে অনেকগুলি প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। লোকটিকে যদি খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েই থাকে, তবে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় কী ভাবে? বিশেষত বড়বাবু যখন টুলের উপরে উঠে হাত তুলে সম্ভবত ফাঁসিরই ইঙ্গিত দেন— তা হলে? লেখকের কথায় রেল স্টেশনের উল্লেখ আছে। বড়বাবু জানালেন যে, বেশ কয়েক বছর ওই ট্রেন বন্ধ। তবে শেষ দিকে আবার রেল স্টেশনের কথা আসে কী ভাবে?

লেখকের চরিত্রে সৌম্য সেনগুপ্ত অত্যন্ত স্বাভাবিক অভিনয় করেছেন। ফলে চরিত্রটি অন্য মাত্রা পেয়েছে। বড়বাবু চরিত্রে শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় অতিনাটকীয় অভিনয়ে বিশ্বাসী। যে থানায় বৃষ্টির সময় জল পড়া অত্যন্ত স্বাভাবিক— কেননা জল ধরার বালতি, বিভিন্ন ধরনের জল মোছার কাপড় ইত্যাদি আছে, সেখানে টেবিলে জল পড়লে চমকে লাফিয়ে ওঠা ভাঁড়ামির পর্যায়ে চলে যায়।

মঞ্চ পরিকল্পনা, আলো, আবহ ভাল। তবে থানায় ভাঙা বা বেত ছেঁড়া চেয়ার বেমানান নয় কি?

সুরমাধুর্যে সমুজ্জ্বল

চিত্রিতা চক্রবর্তী

সরোদে পার্থসারথি

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সারদা হলে সম্প্রতি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল হংসধ্বনি। কণ্ঠসঙ্গীত ও যন্ত্রসঙ্গীতের সম্মিলিত উপস্থাপনায় মনোগ্রাহী হয়ে উঠেছিল অনুষ্ঠান। ছাত্রছাত্রীদের সমবেত কণ্ঠে ইমন রাগের জনপ্রিয় বন্দিশ দিয়ে অনুষ্ঠান সূচিত হল। মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে ভজন গেয়ে শোনালেন আশিসকুমার ভৌমিক। তবলায় সহযোগিতা করেছেন সৌরভ দাস, হারমোনিয়ামে শ্যামাপ্রসাদ দাস। পরবর্তী পরবিবেশনা ছিল ইমন রায়, স্নিগ্ধা মণ্ডল এবং ঐশী মণ্ডলের যৌথ খেয়াল। দীপঙ্কর রায়ের তত্ত্বাবধানে তিন শিশুশিল্পী শোনাল বাগেশ্রী রাগে সৃজিত তিনতালের বন্দিশ ‘বলমা মোরে তোরে সঙ্গ’। তাদের পারস্পরিক বোঝাপ়ড়া ছিল চমৎকার। সরগম-তান-বিস্তার সহযোগে তাদের গায়ন উপভোগ করেছেন শ্রোতারা। তবলা সঙ্গতে ছিলেন অভিজিৎ চক্রবর্তী। মেখলা রায়ের একক খেয়াল পরিবেশনা মন্দ লাগেনি। রাগ বেহাগ গেয়ে শোনালেন তিনি। তবে কণ্ঠস্বর সুমিষ্ট হলেও, মেখলার পরিবেশনায় খানিক জড়়তা ছিল। তবলায় সুরজিৎ সাহা এবং হারমোনিয়ামে অনুপম পাল শিল্পীকে সঙ্গ দিয়েছেন। অদ্রিজা ঠাকুরতার কণ্ঠে জনপ্রিয় ভজন ‘মন লাগো মেরো ইয়ার ফকিরি মে’ বেশ ভাল লেগেছে। জয়শ্রী ঠাকুরতার হারমোনিয়াম এবং সুরজিতের তবলাবাদন অদ্রিজার উপস্থাপনাকে আরও উপভোগ্য করে তুলেছিল। পরবর্তী শিল্পী দীপঙ্কর রায় শোনালেন মধুবন্তী। বিলম্বিৎ, দ্রুত খেয়ালের পর একতালে নিবদ্ধ একটি তারানা পরিবেশন করলেন শিল্পী। তাঁর কণ্ঠের ব্যাপ্তি প্রশংসনীয়। গায়নশৈলীও চমৎকার। সোহিনী রাগে একটি বন্দিশ শুনিয়ে শিল্পী অনুষ্ঠান শেষ করলেন। তবলায় অভিজিৎ চক্রবর্তী, হারমোনিয়ামে দেবাশিস অধিকারী তাঁকে সহযোগিতা করেছেন। অনুষ্ঠানের শেষ শিল্পী ছিলেন সরোদবাদক পার্থসারথি। শুদ্ধ সারং রাগের মূর্ছনায় শ্রোতাদের আবিষ্ট করে রাখলেন তিনি। সুবিন্যস্ত আলাপ, সুনিয়ন্ত্রিত জোড়-ঝালায় তাঁর সরোদবাদন মাধুর্যমণ্ডিত হয়ে উঠেছিল। তবলায় সঙ্গত করেছেন আশিস পাল, সুধীর ঘড়ুই।

অনুষ্ঠান

• সম্প্রতি বিড়লা অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত হল একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শ্রাবণী সেনগুপ্ত, ব্রহ্মতোষ চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ রায়, সোহিনী ভট্টাচার্য প্রমুখ। এ ছাড়াও ছিল নৃত্যানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রাবণী সেনগুপ্ত।

• ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়ামে সম্প্রতি সুর ও ছন্দ আয়োজন করেছিল একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। অংশগ্রহণ করেছিলেন ঈশিকা গঙ্গোপাধ্যায়, সঞ্চারী ভট্টাচার্য, শুভশ্রী রায়, সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা গঙ্গোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন রাজা সেন, উষসী চক্রবর্তী এবং বাদশা মৈত্র।

• ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রামঞ্চে শ্রুতি সৃজন আয়োজন করেছিল একটি অনুষ্ঠানের। সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন উত্তরায়নীর ছাত্রছাত্রীরা। নৃত্য পরিবেশন করেন প্রদীপ্ত নিয়োগী, রুদ্রাভ নিয়োগী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন কেকা গঙ্গোপাধ্যায়, তনুশ্রী সরকার, সোমা গুপ্ত, সঞ্জয় দাস, আশিসতরু মুখোপাধ্যায়, অঞ্জনা রক্ষিত প্রমুখ। তবলায় ও সিন্থেসাইজারে ছিলেন যথাক্রমে দিব্যেন্দু দে এবং দেবাশিস ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দেবাশিস দে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement