কল্পনায়: অ্যাকাডেমিতে চিন্ময় কর্মকারের একক প্রদর্শনীর একটি ভাস্কর্য
যোগী শিরোনামে অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত হল চিন্ময় কর্মকারের একক প্রদর্শনী। একটু অন্য রকম ভাস্কর্য, সঙ্গে কিছু ড্রয়িং। তাঁর কল্পনা এবং বক্তব্যকে রূপায়িত করার জন্য তিনি বুদ্ধদেবের মতো একটি ইউনিভার্সাল ইমেজের সাহায্য নিয়েছেন। প্রদর্শনীতে ভাস্কর্যের ছোট ছোট বুদ্ধমূর্তিগুলির যেন রাজকীয় ভঙ্গি। পুঙ্খানুপুঙ্খতা অনেক কম, সেমি অ্যাবস্ট্রাক্ট। ব্রোঞ্জের উপরে পাতিনা করা। এ রকম এক-একটি মূর্তিকে কেন্দ্র করে ভাস্কর্যের বাকি বিষয়গুলি আবর্তিত হচ্ছে। পেন্টেড উডেন প্লেট ব্যবহার করে জলাশয়ের গোলাকার স্পেস তৈরি করা হয়েছে। গভীরতা বোঝানোর জন্যে ঘন নীল বা কালো রং ব্যবহার করা হয়েছে। বুদ্ধ মূর্তিটিকে অনেকটা স্পেস ছেড়ে প্লেটের সঙ্গে আটকানোর জন্যে মাঝখানের ফাঁকা স্থান পারিপার্শিক নৈঃশব্দ্য রচনাতে এবং অন্য ইমেজগুলির থেকে মূল বিযয়বস্তুর দূরত্ব ও গুরুত্ব তৈরিতে কাজে লেগেছে। যেন কোনও শান্ত জলাধারের মাঝে ধ্যানমগ্ন যোগী। কাজটি বেশ উপভোগ্য।
মেটাল প্লেটে ল্যান্ডস্কেপে বইয়ের পাতার মতো মুখোমুখি দুটি প্লেট। তাতে বয়ে চলা নদী, গাছ প্রভৃতি। এখানে করণকৌশলের দক্ষতার জন্যে প্লেটের ফাঁকা অংশ দিয়ে বাইরের দিকেও দৃষ্টি সঞ্চালনা করা যাচ্ছে। অন্য দুটি গোল স্পেসের কাজে গোলাকার নীল রঙের মাঝখানে ব্রোঞ্জ পাতিনার সবুজ মাছ স্থির হয়ে রয়েছে, জলের ধারে বক। অন্যটিতে গোলাকার অংশ কেটে নেওয়াতে স্পেস ভিতরে চলে আসছে। সেখানে একটি মাছরাঙা ওঁত পেতে রয়েছে। এই সব ভাস্কর্যগুলিতে আলপনার ছোট ছোট ফোঁটার মতো মাছ, হাঁস ইত্যাদি মূল ভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত। তা ছাড়াও অত্যধিক অলংকরণ-প্রবণতা ভাস্কর্যের গাম্ভীর্য নষ্ট করছে।
কাঠের একটি চৌকো ব্লক এবং মেটাল প্লেট দিয়ে তৈরি ঘোড়াটি বড়ই শান্ত। কারণ তাতে তরঙ্গায়িত রেখার গতিশীলতা একেবারেই নেই। ফলে তার পিঠে নিশ্চিন্তে কয়েকটি পাখি বিশ্রাম নিচ্ছে। নেপালি পেপারের উপর কালো ড্রয়িংগুলির বেশ জোর আছে। এগুলিতে সামান্য রঙের প্রয়োগ ভাল লাগা তৈরি করেছে। শিল্পীর ভাস্কর্যগুলির বিশেষত্ব এটাই যে, সেগুলি এক বৃহৎ ভাবনায় রূপান্তরিত হয়। প্রদর্শনীর শিরোনাম যদিও ‘যোগী’—শিল্পী বিশ্বাস করেন সাফল্য পেতে গেলে চেষ্টা, মনোযোগ, কষ্ট ও লেগে থাকা জরুরি। যা ব্যক্তিকে একটি উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। বলা যায় সততারই অন্য নাম তপস্যা।
শমিতা নাগ
সুরের মায়ায়
ভেঙ্কটেশ কুমার
আইটিসি সংগীত সম্মেলন এ বার চল্লিশতম বর্ষ উদ্যাপন করল তিন দিন ধরে। প্রথম সন্ধ্যায় শ্রোতাদের মন জয় করলেন শিল্পী ভেঙ্কটেশ কুমার। শোনালেন বেহাগ রাগে নিবদ্ধ বিলম্বিত এবং দ্রুত বন্দিশ। তাঁর দরাজ কণ্ঠের তানবিস্তারে পাটিয়ালা ঘরানার গতিময়তা ফুটে উঠছিল। তিন সপ্তকের বিস্তারেই তিনি সাবলীল, স্বচ্ছ। শিল্পীর পরবর্তী নিবেদন ছিল রাগ দুর্গা। চমৎকার একটি বন্দিশ ও তারানা উপহার দিলেন শ্রোতাদের, তাঁর স্বভাবজাত মুনশিয়ানায়। প্রয়াত গিরিজা দেবীকে স্মরণ করে মিশ্র খাম্বাজ রাগে একটি ঠুমরি শোনালেন তিনি। উল্লেখ্য, এ বছরের ‘আইটিসি সংগীত সম্মান’ পেলেন কর্ণাটকের প্রবীণ এই কণ্ঠশিল্পী।
গোরখ কল্যাণের সুরে সকলকে মুগ্ধ করলেন শিল্পী রাশিদ খান। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিল্পীও বুঁদ হলেন সুরের সাধনায়। আলাপে, বিস্তারে তিনি ব্যতিক্রমী। মধ্যমের সুচিন্তিত ব্যবহারে গোরখ কল্যাণের রাগরূপ ফুটে উঠছিল তাঁর উদাত্ত কণ্ঠে। বিলম্বিত ও দ্রুত বন্দিশ পরিবেশনার পরে শোনালেন জনপ্রিয় দু’টি দাদরা— ‘বাতো বাতো মে বীত গয়ি রাত’ এবং ‘দিওয়ানা কিয়ে শ্যাম ক্যায়া জাদু ডালা’। মুরাদ আলির সারেঙ্গি তাঁর পরিবেশনায় বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে।
রাত-ভোরের সন্ধিক্ষণকে নটভৈরবের সুরে বাঁধলেন অজয় চক্রবর্তী। রাগালাপ ও সুরবিস্তারকে নিজস্ব গায়কির ছোঁয়ায় করে তুললেন ব্যতিক্রমী। রাগটির উপস্থাপনায় কখনও কখনও দক্ষিণী গায়নশৈলীর দ্বারস্থ হয়েছেন শিল্পী। কৌশিকী চক্রবর্তী শোনালেন পুরিয়া কল্যাণ রাগে বিলম্বিত এবং দ্রুত বন্দিশ। রাগটি শুদ্ধ ঋষভ সহযোগে গাইলেন কৌশিকী। তাঁর শ্রুতিমধুর কণ্ঠস্বর পুরিয়া কল্যাণের ব্যতিক্রমী চলনকে করে তুলেছিল মনোগ্রাহী। মাঝ খাম্বাজে একটি ঠুমরি শুনিয়ে তিনি অনুষ্ঠান শেষ করলেন। দক্ষিণী কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে সুধা রঘুনাথনের সংগীত পরিবেশনা ভাল লাগার মতো। তিনি শোনালেন কয়েকটি স্বল্পশ্রুত রাগ। যন্ত্রশিল্পীদের মধ্যে কলা রামনাথের বেহালাবাদন বেশ ভাল লেগেছে। তিনি শোনালেন যোগকোষ। বিলম্বিত একতালে যোগকোষের বিস্তার একটু একঘেয়ে। যদিও দ্রুত তিনতালের গৎ এবং তারানাটি খুব ভাল বাজিয়েছেন শিল্পী। সেতারের সুরে এ বারও আসর জমালেন শাহিদ পারভেজ। বাগেশ্রী রাগে আলাপ-জোড়-ঝালায় প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠল শেষরাতের আসর। রাগরূপের বিন্যাসে সুযোগমতো মিড়ের প্রয়োগে তিনি সিদ্ধহস্ত। বাগেশ্রীর সূত্র ধরেই শুরু করলেন পরবর্তী রাগ রাগেশ্রী। শোনালেন রূপক এবং তিনতালে চমৎকার দু’টি গৎ। তিন দিনের এই শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলনে শিল্পীদের সঙ্গে যাঁরা সঙ্গত করেছেন, তাঁদের মধ্যে তবলায় যোগেশ সামসি, শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সমর সাহা, হারমোনিয়ামে জ্যোতি গোহো, রূপশ্রী ভট্টাচার্য প্রমুখের কথা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
চিত্রিতা চক্রবর্তী
বাস্তবের আঁস্তাকুড়ে
পরিপাটি করে সাজানো-গোছানো মধ্যবিত্তের ড্রয়িং রুম। চমৎকার ডেকরেশনে সুদৃশ্য দেওয়াল। জানালায় বাহারি পর্দা। লোকশিল্পের কাজ করা দুটি টি-টেবল। মঞ্চের বাঁ দিকে শোভা পাচ্ছে বিদেশি ব্র্যান্ড-এর মদের বোতল। এটি গৃহকর্ত্রী সেবন্তীর বাড়ির ড্রয়িং রুম। বহু দিন পরে এই বাড়িতেই কলেজের বন্ধুরা রি-ইউনিয়নে একসঙ্গে মিলিত হচ্ছে। প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত, উচ্চশিক্ষিত, হাই-সোসাইটির রুচিমান ভদ্রলোক। সোশাল মিডিয়ার দৌলতেই এদের যোগাযোগ। এদের আড্ডায় উঠে আসে স্কুলজীবনের পুরনো স্মৃতি, ক্লাসরুম, প্রেম ও বিচ্ছেদ। প্রায় দেড় ঘণ্টার এই নাট্যাভিনয়ে প্রায় সবটুকু জুড়েই হাসিঠাট্টা, মদ্যপানের আসরে জমে ওঠা তর্ক, গান। মাঝখানে একটি মাত্র মুহূর্ত-পলাশ ও মনীষার ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক ও তার টানাপড়েনের প্রসঙ্গ। শেষের দিকে এমন চমৎকার সংলাপ, কবিতা-গান ও হাসিঠাট্টায় দর্শক মুগ্ধ, তখনও এই প্রতিবেদকের মনে ঘুরছে, এই নাটকের নাট্যবস্তু কোথায়!
তাল কাটল গৃহকর্ত্রীর প্রবাসী সদ্যযুবক ছেলের বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরায়। আট-দশটা কলিং বেলের আওয়াজ, গোঙানি, প্রায় কিছুক্ষণের দমবন্ধ করা নৈঃশব্দ্য। এর পর গৃহকর্ত্রীর একটা ফোন, ‘হ্যালো লালবাজার? ল্যান্সডাউন টেরাসে একটি মেয়েকে গ্যাংরেপ করা হয়েছে। মেয়েটি ক্রিটিক্যাল...ক্রিমিনালদের একজন আমার বাড়িতেই আছে। আমি ছেলেটির মা। আপনারা কাইন্ডলি আমার অ্যাড্রেসটা নোট করুন আর মেয়েটিকে বাঁচান।’’ নাটক কার্যত এখানেই শেষ। আমাদের মধ্যবিত্ত মন ও মানসিকতার গালে নির্দেশক স্বাতী রায় শেষ লগ্নে সপাটে একটি থাপ্পড় কষালেন। এত সুন্দর সব মূহুর্ত, ভাল লাগা, রোমান্টিক মেদুরতাকে এ ভাবে এক হ্যাঁচকায় বাস্তবের আঁস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলতে পারে যে নাটক—ঐহিক প্রযোজিত সেই ‘লাইক কমেন্ট শেয়ার’কে স্যালুট না জানিয়ে পারা যায় না।
মলয় রক্ষিত
ঐতিহ্য বজায় রইল
সম্প্রতি অ্যাকাডেমি থিয়েটারের প্রযোজনায় পরিবেশিত হল ‘মঞ্চগাথায় ছায়াছবি’। অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্য থিয়েটারের গানের আবহে বাংলা ফিচার ফিল্মের শতাব্দী পরিক্রমা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জানা গেল অ্যাকাডেমির কর্মযজ্ঞের কথা। ইতিহাসনির্ভর প্রকাশনা, গবেষণা এঁদের অন্যতম প্রচেষ্টা। শ্রুতিনন্দন এই সুন্দর অনুষ্ঠানটির মূল কৃত্বিত্বের দাবিদার অবশ্যই দেবজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ইতিহাস পরম্পরায় খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছিলেন প্রযোজনাটিকে। সবচেয়ে নজর কেড়েছে মঞ্চসজ্জা। যা শ্রোতাদের পুরনো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। অনুষ্ঠানে গানের পর্বে দেবজিত্ ছাড়াও ছিলেন ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঠে ছিলেন ও-পার বাংলার সামিউল ইসলাম পোলাক।
সে দিন সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বহু অশ্রুত গান, ইতিহাসের হাত ধরে যা শ্রোতাদের কাছে ফিরে এল। অবশ্যই সাধুবাদ জানাই দেবজিতের গবেষণাভিত্তিক গ্রন্থনাকে। মঞ্চে পরিবেশিত ছায়াছবিতে ব্যবহৃত গান এখনও মনের গভীরে গেঁথে আছে। সে দিন খুব ভাল গাইলেন দেবজিত্। দরাজ কণ্ঠে ‘আজি এসেছি’ বা ‘ভোগ করে নাও’ গান দুটি শ্রোতাদের প্রশংসা আদায় করে নেয়। স্বমহিমায় প্রকাশ পেল ঋদ্ধির গান।
অনুষ্ঠানটি শেষ হয়েও যেন বার বার মনে করিয়ে দেয় ইতিহাস সংরক্ষণের দায়িত্ব ও নিজেদের ঐতিহ্যের কথা। সাধুবাদ জানাতেই হয় অ্যাকাডেমি থিয়েটারকে।
শ্রীনন্দা মুখোপাধ্যায়
অনুষ্ঠান
• মহাজাতি সদনে আরোহি নিবেদন করেছিল গান ও কথার সুন্দর মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান ‘আনন্দ সন্ধ্যা’। নচিকেতা মাতিয়ে দিলেন ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গানটি দিয়ে। পরে গাইলেন ‘লাল ফিতে সাদা মোজা’। স্বমহিমায় নিজের সুনাম ধরে রাখলেন বেলা সাধুখাঁ। ‘টুংটাং পিয়ানোয়’, ‘এমন মধুর সন্ধ্যায়’ গান দুটিতেই শিল্পী শ্রোতাদের প্রশংসা আদায় করে নিলেন। পরে গাইলেন ‘কিনে দে রেশমি চুড়ি’। আবেগ ঝরানো স্বর্ণযুগের গান ‘হয় তো কিছুই নাহি পাব’ এ দিন গাইলেন ইন্দ্রাণী বিশ্বাস মণ্ডল। কণ্ঠমাধুর্যে পরের গানেও শিল্পী নিজেকে প্রকাশ করতে পেরেছেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্য শিল্পীরাও বিভিন্ন গানে তাঁদের সুনাম বজায় রেখেছেন। বাদ্যযন্ত্রে শিল্পীদের সহযোগিতা করেছেন দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তম মুখোপাধ্যায়, সঞ্জয় কর্মকার, আশিস তফাদার।
• বাংলা অ্যাকাডেমিতে চতুষ্কোণ আয়োজন করেছিল ‘এসেছে শরৎ’ শীর্ষক আবৃত্তির অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত শিল্পী ছিলেন উৎপল কুণ্ডু ও কাজল সুর। পরে একক আবৃত্তি শোনালেন অর্ণব চক্রবর্তী, নন্দিনী লাহা, শ্রীমন্তী দাশগুপ্ত, সুব্রত কুণ্ডু প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন চন্দন মজুমদার।
• শোভাবাজার নাটমন্দিরে স্বর ও শ্রুতি আয়োজন করেছিল আবৃত্তি ও শ্রুতিনাটক। পরিচালনায় চন্দনা আইচ। অংশ নিয়েছিলেন দেবস্মিতা দে, অর্কপ্রিয়া মুখোপাধ্যায়, শ্রেষ্ঠা সাউ প্রমুখ শিল্পী।
• ত্রিগুণা সেন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল সঞ্চারী কলাকেন্দ্র-র অনুষ্ঠান। প্রথমে ছিল মঙ্গলাচরণ-বেদগান ও পরে মুক্তধারা শিল্পীগোষ্ঠীর সমবেত। সব শেষে ছিল শ্রাবণী সেন মিউজিক অ্যাকাডেমির শিল্পীদের সম্মিলিত গান।
• সল্টলেক থিয়েটার আয়োজন করেছিল ষোড়শ নাট্যোৎসব। প্রদর্শিত নাটকগুলির মধ্যে রয়েছে নান্দীকারের ‘রানি কাদম্বিনী’, সায়কের ‘প্রেমকথা’, বাঘাযতীন আলাপের ‘কিত্তনখোলা’ ও সল্টলেক থিয়েটারের ‘মানসী’ ও ‘আবার চাপা পড়া মানুষ’। এ ছাড়াও ছিল মুখোমুখির প্রযোজনা ‘ঘটক বিদায়’। শেষ দিনে অভিনীত হয় পূর্বরঙ্গের প্রযোজনায় ‘সীতায়ন’ ও উষ্ণিকের ‘অগ্নিজাতক’।