ইউটিলিটি নাইফ
আলু পোস্তয় যেমন আলু পেতে চান, ঝিরিঝিরি ভাজায় নিশ্চয়ই তার চেহারা আলাদা হবে। আবার মাছের ফিলে কাটার পদ্ধতি অন্য। কিংবা মাংসের কিমা হোক বা ধনেপাতা কুচোনো, সেটার কসরতও অন্য রকম।
নানা রকম ভাবে আনাজ, মাছ, মাংস, কাটার কাজটাই সহজ করে দেয় বিভিন্ন ধরনের ছুরি-কাঁচি। আর সে সব ছুরি-কাঁচির মহিমায় এবং কাটার কৌশলে নিজের হেঁশেলেই হয়ে উঠতে পারেন আদ্যোপান্ত পেশাদার শেফ!
পিলার: যে কোনও আনাজের খোসা ছাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। আবার হাত কাটারও ভয় থাকে না পিলারে।
পিলার (ইনসেটে, মিন্সিং নাইফ)।
মিন্সিং নাইফ: দেখতে সাধারণ ছুরির মতো নয়। দুটো হাতলের উপরে ভর দিয়ে সহজেই মাংসের কিমা করে নিতে পারেন।
ব্রেড নাইফ: সাধারণ বাঙালির ঘরে ব্রেড লোফ থেকে কেটে কেটে খাওয়ার প্রচলন জাঁকিয়ে না বসলেও পাউরুটি জাতীয় কিছু টুকরো করতে ব্রেড নাইফ নিতে পারেন। এই ধরনের ছুরি ৭-১০ ইঞ্চি লম্বা হয়।
ইউটিলিটি নাইফ: ৪-৭ ইঞ্চি লম্বা এই ছুরিকে ‘মিনি শেফ’স নাইফ’ও বলা হয়। টম্যাটো থেকে কুমড়ো— সব ধরনের আনাজই স্বচ্ছন্দে কাটতে পারেন।
ক্লিভার
ক্লিভার: রান্নাঘরের সবচেয়ে মোটা ও ভারী ছুরি হল ক্লিভার। খুব সহজেই হাড়-সহ মাংস থেকে শুরু করে বড় কুমড়ো, তরমুজ কাটতে পারেন ক্লিভারের সাহায্যে।
বোনিং নাইফ: মাছের কাঁটা তোলা, হাড় থেকে মাংস ছাড়ানোর কাজ এর। লম্বায় ৩-৮ ইঞ্চি হয়।
শিয়ার্স: হার্ব কুচোনো থেকে চটজলদি লঙ্কা চেরা— এ সব কাজে ধারালো কাঁচি বা শিয়ার্স অন্যতম।
ছুরির হাজারো রকমফেরের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে এগুলোই সাহায্য করতে পারে আপনার রান্নার ভোল বদলে দিতে।