আলমারিতে ও ট্রাভেল ব্যাগে় জায়গার অভাব হয়নি, এমন মানুষ মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। আলমারি খুললেই মনে হয়, একটা জামাও পরার মতো নয়। এ দিকে নতুন জামা কিনে এনে রাখার মতো জায়গাও জোটে না েসখানে। কোনও এক ছুটির দিন মাটি করে সেই আলমারি গুছিয়ে ফেললেও মাত্র কয়েক দিনই লাগে তা জামা-কাপড়ের স্তূপে পরিণত হতে। কিন্তু একটু বুদ্ধি করে জামাকাপড় গোছালে জায়গার অভাব হবে না, বরং পোশাকও ভাল থাকবে।
• জামাকাপ়়ড় ভাঁজ করা মানেই তা পাটে পাটে ভাঁজ নয়। বরং মুড়িয়ে রোল করে রাখুন। টি-শার্ট, জিন্স, কুর্তি থেকে শুরু করে শাড়িও রোল করে রাখা যায়।
• প্রত্যেকটা পোশাকের জন্য আলমারির মধ্যেই জায়গা ভাগ করে নিন। এক দিক টি-শার্টের, তো অন্য দিক জিন্সের জন্য জায়গা বরাদ্দ করুন। এতে রোজকার ব্যবহারের জন্য পোশাক খুঁজে পেতেও সুবিধে হবে।
• সাধারণত আমরা যেভাবে জামাকাপড় ভাঁজ করি, তাতে জামায় ভাঁজের দাগ পড়ে যায়। ফলে বেরনোর আগে ইস্ত্রি করার ঝক্কি পোহাতে হয়। রোল করে রাখলে সে সমস্যা হবে না।
• আলমারি গোছানোর সময় খেয়াল রাখবেন, দৈনন্দিন ব্যবহারের জামাকাপড় যেন আপনার চোখের সমান উচ্চতায় থাকে। আর শীতের পোশাক বা রোজ লাগে না, এমন পোশাক সবচেয়ে উপরের বা নীচের তাকে রাখতে পারেন।
• বাড়িতে বিভিন্ন শপিং সাইটের ডেলিভারির সঙ্গে পিচবোর্ডের বাক্স আসে। সেগুলো ফেলে না দিয়ে তার মধ্যে অন্তর্বাস, স্কার্ফ, ব্লাউজ় ইত্যাদি রাখতে পারেন। এতে দরকারের সময় জিনিসটা খুঁজতে হবে না। আর আলমারিও পরিষ্কার থাকবে অনেক দিন। বাক্সের ভিতর ঘেঁটে গেলে বাক্সটা বের করে গুছিয়ে নিন।
• কোথাও বে়ড়াতে যাওয়ার সময় ব্যাগে জামাকাপড় পুরে নিলেও, ফেরার সময় শপিংয়ের বহরে ব্যাগের পেট ফেটে যাওয়ার জোগাড় হয়। তখনও প্রয়োগ করতে পারেন এই রোল করার টিপ্স।
• পোশাকের রোলের ভিতরে ভরে নিতে পারেন চিরুনি, লিপস্টিক বা কাজল পেনসিল। তা হলে জায়গা আরও বাঁচবে।
আর চিন্তা কী! এ বার বেরিয়ে পড়ুন শপিংয়ে।