শহরের চারপাশে যে ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ফ্ল্যাটবা়ড়ি, তাতে জায়গা যে কমছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। টু কিংবা থ্রি বিএইচকে-র ফ্ল্যাটে হেঁশেলের জন্য আর কতটুকুই বা বরাদ্দ থাকে! তা বলে কি আর আপনার রাঁধুনি সত্তা পিছিয়ে থাকবে? বরং যে ভাবে চাল-ডাল, মশলাপাতি অবাধে বিচরণ করছে দেশে দেশে, তাতে রান্নাঘরে স্থান সঙ্কুলান না হওয়াটাই স্বাভাবিক। চিন্তার অবশ্য কারণ নেই। বরং ছোট জায়গাতেই করে ফেলুন আপনার কিচেন স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট!
• রান্নাঘরের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসের জায়গা নির্বাচন করুন সবার আগে। গ্যাসের জায়গা ঠিক করে নিলেই বাকি সাজানো যায় সহজে।
• ফ্রিজ রাখতে পারেন হেঁশেলের বাইরে। এতে রান্নাঘরের জায়গা বাড়বে।
• রান্নাঘরের ফাঁকা দেওয়ালে শক্ত স্ল্যাব তৈরি করে ঝুলিয়ে রাখুন মাইক্রোওয়েভ আভেন, ওটিজি। সে ক্ষেত্রে উচ্চতা মাপার জন্য অবশ্যই খেয়াল করুন নিজের নাগালটুকু।
• মিক্সার গ্রাইন্ডার, ব্লেন্ডার, টোস্টার বার বার বাক্সবন্দি করে তুলে রাখার মানে নেই কোনও। তাই কিচেন স্ল্যাবের এক কোণে এগুলোর জায়গা হোক পাশাপাশি।
• সিঙ্কের নীচের অংশ অব্যবহৃত থাকে। সেই জায়গায় বানিয়ে ফেলুন ছোট্ট র্যাক। তাতে রাখুন রোজকার প্রয়োজনীয় ব্রাশ, তোয়ালে, ডিশ ওয়াশার সোপ ইত্যাদি।
• আলাদা হেঁশেল ও ভাঁড়ারের ভাবনা প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। তাই রান্নাঘরের ফাঁকা দেওয়ালে ঝুলন্ত তাক তৈরি করে বানিয়ে ফেলুন প্যান্ট্রি। খেয়াল রাখুন প্রয়োজনের জিনিস যেন হাতের কাছে থাকে। ক্যানিস্টার বা মশলার কৌটো সাইজ অনুযায়ী নয়, সাজিয়ে রাখুন গ্রুপ অনুযায়ী। গ্রুপ ভাগ করতে পারেন নানা রকম তেল, ভারতীয় মশলা, পাস্তা-চাউমিন, হার্ব... এই ভাবে।
• মশলার কৌটোর গায়ে নাম লিখে রাখুন। ব্যস্ত সময়ে সহজে খুঁজে পেতে সুবিধে হবে।
• ক্যাবিনেটের দরজায় ভিতরের দিকে হুক লাগিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন কৌটো, তোয়ালে, ন্যাপকিন।
• এক জায়গায় কড়াই, ননস্টিক কুকওয়্যার ইত্যাদি থাকে থাকে সাজিয়ে রেখে তার উপর গ্রিল র্যাক দিয়ে দোতলা বানিয়ে নিন। দ্বিতীয় তাকে রাখতে পারেন হালকা জিনিস।
• কর্নফ্লেক্স বা ওট্সের বাক্সের মুখ কেটে কাগজ দিয়ে শক্তপোক্ত করে বানিয়ে ফেলুন র্যাক। দরকারি রান্নার বই, ম্যাগাজিন তাতে ভরে রেখে দিন স্ল্যাবের এক পাশে।
স্বল্প পরিসরে হেঁশেল গোছানোও একটা শিল্প। তার জন্য প্রয়োজন নেই মডিউলার কিচেনেরও। আপনার রুচিগুণেই শৈল্পিক হয়ে উঠুক সাধের হেঁশেল।