ওজম কমাতে চান অথচ জিমে যাওয়ার সময় নেই বা যোগব্যায়ামও করা হয়ে ওঠে না? ফলে শুধু মাপা খাওয়াতেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে হচ্ছে। অথচ মনে খুঁতখুঁত করছে, ডায়েটে কি পুরোটা হবে? তাই আপনাদের জন্য রইল সহজ কিছু উপায়। সাংসারিক এমন কিছু কাজ যা ওজন কমাতে এবং ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
• বাড়িতে হাঁটু মুড়ে বসে আপনাকে অনেক কাজই তো করতে হয়। নিচু হয়ে বসে ফ্রিজে খাবার রাখেন কিংবা আলমারি গোছান বা ওয়াশিং মেশিনে জামাকাপড় কাচতে দিচ্ছেন... এ সব কাজ কিন্তু আপনাকে ফিটও রাখছে। এর মধ্য দিয়ে আসলে আপনি স্কোয়াটের ফল পাবেন। যখনই স্কোয়াট করি, দাঁড়ানোর আগে এক-একটা পোজ় কিছুক্ষণ ধরে রাখতে হয়। এতে হিপ, থাইয়ের গড়ন টোন্ড হয়। রোজ এই ব্যবহারিক স্কোয়াট ২০ থেকে ৩০টি করতে চেষ্টা করুন।
• জামাকাপড় ধোওয়ার পর যদি আয়রন করাটাও নিজে হাতে করতে পারেন, জানবেন ওজন কমানোর লক্ষ্যে এগিয়ে গেলেন।
• রান্নাঘরের বা বাথরুমের দেওয়ালের টাইল্স বা মেঝে কখনও পরিষ্কার করেছেন কি? যদি না করে থাকেন, এ বার থেকে মোটা স্ক্রাবার এবং এক বোতল ক্লিনার নিয়ে লেগে পড়ুন। পেটের পেশি টাইট রাখা, যা আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি, তার জন্য এটি কিন্তু দুর্দান্ত এক্সারসাইজ়। পেটের সঙ্গে হাতের গঠনও এতে সুঠাম হয়। যখন আপনি সামনে ঝুঁকে মেঝে স্ক্রাবার দিয়ে ঘষছেন, অজান্তেই কিন্তু প্লাঙ্ক করছেন। ফ্ল্যাট বেলি, সুন্দর হাতের প্রাপ্তি তো বটেই, পিঠের ব্যথা থেকেও মুক্তি পাবেন।
• হাত ব্যথা হয়ে যায় বলে, অনেকেই ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কিনেও কিছু দিন পর থেকে সেই আদি অকৃত্রিম ঝাড়ুর শরণাপন্ন হন। কিন্তু ভ্যাকুয়াম ক্লিনারে পরিষ্কারের ওই কষ্টটুকু ওজন কমাতে কার্যকরী। যদি তাড়াতাড়ি ফল পেতে চান, তা হলে লাঞ্জিং এবং ভ্যাকুয়মিংয়ের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কমিয়ে দিন।
• ছুটির দিনে মাঝেসাঝে রান্না করুন। এটাও দারুণ ব্যায়াম।
• বাড়ির গাড়ি পরিষ্কারের কাজটা নিজেও করে দেখতে পারেন।
• জিনিসপত্র কিনে, তা হাতে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন।
আসলে কাজের মধ্য দিয়ে কতটা ক্যালরি বার্ন হল, তা নির্ভর করে আপনার কাজের গতি, ওজন এবং পরিশ্রম কতটা হচ্ছে, তার উপর। তাই সব মানুষের ক্ষেত্রে একই হারে ওজন কমে না। এ ছাড়াও যখনই কোনও বাড়ির কাজ করবেন, কাজের গতি বাড়িয়ে দিন। এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাচ্ছেন বা অন্য কাজে লেগে পড়ছেন, হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিন। সব সময় সিঁড়ি ব্যবহার করুন। আর ধোয়াকাচার কাজটা নিজে করুন। ফল পাবেনই।