গরমে সুতির জামাকাপড়ের আরামের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারবে না কোনও প্রতিযোগী। মানে অন্য কোনও ফ্যাব্রিক। কিন্তু সেটা জেনেও অনেকেই সুতি পরাটা এড়িয়ে চলেন। একে তো এই ফ্যাব্রিকটির সঠিক যত্ন না হলে বেশি দিন টেকে না, তার উপর ধোওয়ার পর পোশাক ছোট হয়ে যাওয়া বা রং ওঠার সম্ভাবনা, ইস্ত্রি করা... যত্নের হরেক ফর্দ!। কিন্তু যত্নের উপায়টা জানা থাকলে, এই সামারে কটন হতে পারে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড।
• সুতি সম্পর্কে প্রথমেই যে কথাটা বলব, এটি হল এমন ফ্যাব্রিক, যার শ্বাস নেওয়ার অনেক জায়গা রয়েছে। তাই কটন এত হালকা এবং পরে আরাম। তবে এই কারণেই কিন্তু সুতি ঘাম ও শরীর থেকে বেরোনো অতিরিক্ত তেল সহজে শুষে নেয়। এ রকম ক্ষেত্রে না কেচে সুতির জামা বারবার পরা হলে দেখা যায়, কলারের কাছে এবং আর্মপিটে জামার রং কিছু দিন পরই ফিকে হয়ে গিয়েছে। তাই পরার পর পোশাক হাওয়ায় মেলে দিন। বার দুয়েক পরার পর কেচে নিন।
• বিভিন্ন রঙের সুতির পোশাক একসঙ্গে কাচবেন না, তাতে গাঢ় রঙের জামাটি থেকে রং উঠে হালকা রংটিকে নষ্ট করবে। রঙিন সুতির পোশাক শ্রিংক করার একটা ভয় থাকে। তাই সেগুলো সব সময় স্বাভাবিক টেম্পারেচারের জলে ধুতে চেষ্টা করুন। টাওয়েল বা ডেনিমের টেক্সচার আলাদা বলে তা সুতির সঙ্গে কাচবেন না।
• পোশাকে কোথাও দাগ লেগে থাকলে, আগে সেটা তুলে নিন। দাগের উপর স্টেন রিমুভার লাগিয়ে একটি টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে তুলুন। তার পর জামাটি হালকা ডিটারজেন্টে মিনিট পনেরো মতো ভিজিয়ে, কেচে নিন।
• সুতিতে যেহেতু ভাঁজ পড়ে সহজে, তাই জামার শেপ ঠিক রাখতে ঝুলিয়ে রাখুন এবং সরু নয়, মোটা শেপের হ্যাঙারে রাখুন।
• অনেকেই হালকা ভেজা জামাকাপড় ওয়াশিং মেশিনে শুকনো করে নেন। এ ক্ষেত্রে তা করবেন না। ঘামে ভেজা হোক বা জলে ভেজা, নিজের থেকে জল টেনে যেতে দিন।
• চেষ্টা করবেন, কটন গারমেন্ট ওয়াশিং মেশিনে না কেচে, হাতে কেচে নিতে এবং কড়া রোদে না শুকিয়ে, বারান্দায় হালকা বাতাসে শুকিয়ে নিতে।
• আয়রন করার আগে জামাতে জলের ছিটে দিয়ে নেবেন। আর কোনও দাগ থাকলে, তার উপর অবশ্যই ইস্ত্রি করবেন না। পোশাকে যদি কোনও এমবেলিশমেন্ট থাকে, তা হলে উলটো করে আয়রন করুন। ইস্ত্রি করার পর পোশাক শুকিয়ে গেলে, ভাল করে হাওয়া খাইয়ে আলমারিতে রাখুন।
• কটন যেহেতু ঘাম ও ন্যাচারাল অয়েল শরীর থেকে সহজেই শুষে নেয়, তাই না কেচে সুতির পোশাক আলমারিতে রাখবেন না। কারণ পোশাকের ওই অংশগুলোর রং নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
• সুতির পোশাক পোকায় কাটার ভয় থাকে। তাই কয়েকটি ন্যাফথালিন পাতলা কাপড়ে মুড়ে পোশাকের নীচে রাখুন। ল্যাভেন্ডার স্যাশেও রাখতে পারেন। খুব ভাল হয়, পোশাকের নীচে পাতলা সুতির কাপড় পেতে শুকনো লংকা ও তামাক পাতা রাখুন। অনেক দিন পোশাকটি পরা না হলে রোদে দিন।