Kanika Banerjee

কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শততম জন্মদিন উদ্‌যাপন

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শততম জন্মদিন উপলক্ষে বর্ষব্যাপী জন্মশতবার্ষিকী উৎসবের সূচনা হল শান্তিনিকেতনে শিল্পীর ‘আনন্দধারা’ বাড়িতে, যা বর্তমানে ‘মোহরবীথিকা’ অঙ্গন নামে পরিচিত।

Advertisement

কাশীনাথ রায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০৮
Share:

গাইছেন রেজ়ওয়ানা চৌধুরী বন্যা। —ফাইল চিত্র।

রবীন্দ্র স্নেহধন্যা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শততম জন্মদিন উপলক্ষে বর্ষব্যাপী জন্মশতবার্ষিকী উৎসবের সূচনা হল শান্তিনিকেতনে শিল্পীর ‘আনন্দধারা’ বাড়িতে, যা বর্তমানে ‘মোহরবীথিকা’ অঙ্গন নামে পরিচিত। অনুষ্ঠানের সূচনা হয়, রেকর্ডে শিল্পীর স্বকণ্ঠে গাওয়া ‘আবার যদি ইচ্ছা কর’ গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। গানের পর প্রথমেই শতবর্ষ উদ্‌যাপন কমিটির অন্যতম সভাপতি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, “শতবর্ষ উপলক্ষে সারা বছরব্যাপী যে নানাবিধ অনুষ্ঠান ও কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম শিল্পীর আনন্দধারাবাড়ির একাংশে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতি অভিলেখাগার তৈরি।” এর পরেই শিল্পীর স্নেহধন্যা শ্রীমতি বীথিকা মুখোপাধ্যায় জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা ঘোষণাকরেন। মঞ্চে উপবিষ্ট বিশিষ্ট অতিথিবর্গের উপস্থিতিতে শতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের প্রদীপটি প্রজ্জ্বলিত হয়, যা নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৎসরব্যাপী প্রজ্জ্বলিত থাকবে বলা হয়।

Advertisement

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কথায়-গানে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন দুই বাংলার শিল্পীরা। এর মধ্যে মোহন সিংহের ‘রাখো রাখো রে জীবনে’, প্রমিতা মল্লিকের ‘আমার যে সব দিতে হবে’, স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তের ‘হৃদয় আমার প্রকাশ হল’ উল্লেখযোগ্য। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে ‘কার বাঁশি নিশিভোরে’, ‘হে ক্ষণিকের অতিথি’ গান দু’টি মনকে স্পর্শ করে। ভাল লাগে লিলি ইসলামের গাওয়া ‘আপনারে দিয়ে রচিলি রে’, সাদি মহম্মদের কণ্ঠে ‘সকরুণ বেণু’ এবং মহাদেব ঘোষের গাওয়া ‘তোমরা যা বলো তাই বলো’ গানগুলি। প্রবুদ্ধ রাহার গাওয়া ‘হৃদয়নন্দনবনে’, অলোক রায়চৌধুরীর গাওয়া ‘আমি ফিরব না রে’ সুগীত। অনুষ্ঠান চলাকালীন মাঝে মাঝে শিল্পীর স্মৃতিচারণায় অনুষ্ঠানটি পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়। আবৃত্তি ও স্মৃতিচারণায় ছিলেন সর্বশ্রী সুপ্রিয় ঠাকুর, মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র মিত্র, গৌতম ঘোষ, অলোক প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র মিত্র, গৌতম ঘোষ, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে। সঞ্চালনায় চৈতালী দাশগুপ্ত এবং নিবেদিতা সেনগুপ্ত তাঁদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেছেন। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন সৌগত দাস, সুতনু সরকার, চঞ্চল নন্দী, সত্যপ্রিয় রায়, বিশ্বায়ন রায়, দিলীপ বীর বংশী এবং সুব্রত (বাবু) মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে প্রিয়ম মুখোপাধ্যায় এবং ঋতপা মুখোপাধ্যায়ের দ্বৈত কণ্ঠে গীত ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ গানের মধ্য দিয়ে, যে গানে শ্রদ্ধেয়া শিল্পীর নিবেদনের ধারাটিকে আবার খুঁজে পাওয়া যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement