নিজের চোখে দেখা বৃষ্টি: লেখিকা রিয়া ভট্টাচার্য
বৃষ্টি, এক স্মৃতিভেজা করুণ বিকেল। জানালার কাঁচে বিন্দু বিন্দু ফুটে ওঠা বারিকুসুম, ধোঁয়া ওঠা কফির কাপে ক্লান্ত ঠোঁটের চুমুক। হলুদ রঙের ডায়েরিটা আলগোছে পড়ে রয়েছে বিছানার একপাশে। কতকগুলি পাতা ছেঁড়া তার। কোনও একদিন বন্দি স্মৃতির হিসেব এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল সেখানে। তাদের পুড়িয়ে ফেলা ছাড়া উপায় ছিল না আর।
হেডফোনে বিঠোভেনের ‘মুনলাইট সোনাটা’ লুপে বাজে। আকাশের সঙ্গে সঙ্গে চোখের কোণেও জল। যারা একদিন হারিয়ে গিয়েছিল হাত ছেড়ে যান্ত্রিক শহরের চক্রাবর্তে, তারা ফিরে ফিরে আসছে। নীরবিন্দু সৃষ্টি করছে তাদের আদুল জলছবি।
ঘরছাড়ারা কখনও হয়তো ফিরে আসে, তবু থেকে যায় না তারা। স্মৃতির চাদরে জমা রাখে যোজনগন্ধা ধুলো। বৃষ্টি সেই ধুলোর শরীরে অশ্রুচাবুক হানে। মুহূর্তের জন্য হলেও বেঁচে ওঠে তারা। আবার হারিয়ে যায় কালের আবর্তে।
বৃষ্টি বয়ে আনে অন্তহীন অপেক্ষা। আমার পেয়েও হারানো ভেজা বিকেলগুলি। এক নির্বিকল্প হতাশা। হারিয়ে যাওয়া প্রেম আর, কখনো না শেষ হওয়া স্মৃতির গহীন মরশুম।
এই প্রতিবেদনটি ‘আষাঢ়ের গল্প’ কনটেস্ট থেকে সংগৃহীত।