Monsoon Special

এ কেমন আগমন?

আমি কেবল সেদিন শূন্যতা দেখেছিলাম চোখের আবহে। এ যে কাছে থেকে তীর নিক্ষেপ— লেখক অভিজিৎ সাহা

Advertisement

সংগৃহীত প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২২ ০৭:০২
Share:

প্রতীকী ছবি: লেখক অভিজিৎ সাহা

খুব যে পিছনের দিন তা নয়ই। সে দিন হঠাৎ স্মৃতির পাতায় তুমি এসে বসেছিলে। আমার বিষণ্ণতার শহরতলী খুঁজতে। নিভে যাওয়া কতক মোছড় আর চার দেওয়ালের আঁধারতৃপ্ত কাহিনির ভাঙ্গা জোগাড় আস্রাদন করতে। আমি মন্দের দিকে কতখানি গিয়েছি, সেটার পূর্ণতা কত নিবিড় হতে পারে, তার আঁচ পেতে। আমার এত ভালবাসা বিঁধে যায় কেন? কেনই বা এত অচিরেই সন্ধ্যে নামে; দিন শেষ না হয়েই? কেন না বলেই ফিরতে হয় তাকে?...

Advertisement

ক্ষণিকের অতীতে ব্যস্ত সময়গুলিকে ওলট পালট করে দিয়ে আজ দু’জনেই ক্ষান্ত; অবশ্য তুমি দেওয়াল রাখতে চাওনি, আমার ইচ্ছেতেই সম্পূর্ণ বিলীন হয়েছিলে তুমি। কারণ তোমার অনড় অলিখিত কথ্য এ সুগন্ধী সম্পর্কটাকে মুহূর্তের তারে রক্তপাত এনেছিল! আমি কেবল সেদিন শূন্যতা দেখেছিলাম চোখের আবহে। এ যে কাছে থেকে তীর নিক্ষেপ। সহ্য করার ক্ষমতা আমার তেমন ছিল না। তাই মৃত শরীরটাকে বাঁচাতে পালিয়ে গেছিলাম অদূর কিনারায়।

তখন অতটাও সন্ধ্যে নামেনি। অন্ধকারের বিচরণ বেশ খানিকদূরে। ঠিক তখনই প্রত্যক্ষদর্শীদের বসন্তের শৈত্য মননে গাছেদের নরম পাতার জৌলুসে চোখ রাখতেই হারাতে হয়েছিল খানিক নিরুদ্দেশে। ঠিক সেইক্ষণে আনমনা হয় আমার বিক্ষত মন। কল্পনার চালকে বসে যখন আমি কি অসম্ভবভাবে চড়ে বেড়াই। ঠিক তখনিই তার দৌরাত্ম্য আলো করে চলে আসে ক্ষুধার্ত হৃদয়জালে। উত্তপ্ত মনের পরিহাস আর আঁধারের মধ্যে জলন্ত দেহের উৎসবে তুমি এত মরিয়া যে আমাকে দেখতে এসে একটা আস্ত পাথর দেখে গেলে!

Advertisement

এ কেমন আগমন?

আরও একটু থমকে যেতে পারতে ....

বিচূর্ণ, অগ্নি শিখার উচ্চতা না হয় আরও খানিকটা দূর হতে ছুঁয়ে যেতে পারতে? পারতে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া শরীরটার গাঢ় শব্দের অনাড়ম্বর দেখে যেতে।

এই প্রতিবেদনটি ‘আষাঢ়ের গল্প’ কনটেস্ট থেকে সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement