পরিষেবা চালু করতে লাইসেন্স পেল আমরি

দমকল দফতরের ‘নো অবজেকশন’ সার্টিফিকেট মিলেছিল দিন দশেক আগে। বৃহস্পতিবার ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালের দু’টি ভবনে পরিষেবা চালুর ব্যাপারে লাইসেন্স দিয়ে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এখন ট্রেড লাইসেন্স আর দূষণের ছাড়পত্র মিললেই রোগী ভর্তি শুরু করা যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৪ ০২:১১
Share:

দমকল দফতরের ‘নো অবজেকশন’ সার্টিফিকেট মিলেছিল দিন দশেক আগে। বৃহস্পতিবার ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালের দু’টি ভবনে পরিষেবা চালুর ব্যাপারে লাইসেন্স দিয়ে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এখন ট্রেড লাইসেন্স আর দূষণের ছাড়পত্র মিললেই রোগী ভর্তি শুরু করা যাবে।

Advertisement

কিছুদিন আগে আমরির সর্বোচ্চ কর্তারা নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি সহানুভূতি সহকারে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন আমরি-কর্তাদের। তার দিন কয়েকের মধ্যেই দমকল ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। তার পরে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের ছাড়পত্রও এসে গেল আমরির হাতে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীর কথায়, “পি-৪ ও ৫ সিআইটি স্কিম-এর ঠিকানায় মূল ভবন এবং তার পিছনে ১৭ পঞ্চাননতলা লেন-এ অ্যানেক্স ২ ভবন খোলার লাইসেন্স বৃহস্পতিবার দেওয়া হয়েছে। তবে যে ভবনে আগুন লেগেছিল, তার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।” আমরি-র সিইও রূপক বড়ুয়া বলেন, “হেলথ লাইসেন্স পাওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। সেটা পেরোতে পেরে আমরা নিশ্চিন্ত।” তাঁদের আশা, সব ঠিক থাকলে আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে হাসপাতাল খোলা সম্ভব হবে। প্রথমে ঢাকুরিয়ার দু’টি ভবনে মোট ২০০ জন (মূল ভবনে ১৫০ এবং তার পিছনের বাড়িটিতে ৫০ জন) রোগী ভর্তি করা যাবে।

Advertisement

২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর আগুন লেগে আমরিতে ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রূপকবাবু বলেন, এর পরে একাধিক বার হাসপাতাল পরিদর্শনের সময়ে ঢাকুরিয়ার দু’টি ভবন নিয়ে নানা ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন দমকলের অফিসারেরা। সেগুলির সবই তাঁরা অনুসরণ করে চলায় দমকল দফতর সন্তোষ প্রকাশ করেছিল বলে রূপকবাবুর দাবি। এর পরেও দমকলের ছাড়পত্র আটকে থাকায় আমরি-কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। কারণ, ওই সংক্রান্ত ফাইলটি যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই রয়েছে এবং তিনি ছাড়পত্র না দিলে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা যে একটুও এগোবেন না, তা সরকারি তরফে আগেই তাঁদের কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।

দীর্ঘ চেষ্টার পরে গত মঙ্গলবার তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান। সেই অনুযায়ী গ্রুপ সিইও রূপক বড়ুয়াকে নিয়ে নবান্নে যান ইমামি গ্রুপের যুগ্ম চেয়ারম্যান আর এস অগ্রবাল ও আর এস গোয়েনকা এবং তাঁদের ছেলে আদিত্য অগ্রবাল এবং মণীশ গোয়েন্কা। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকের পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি রিপোর্ট খতিয়ে দেখে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন। স্বাস্থ্য দফতরের লাইসেন্স মেলার পরে আমরি খুলতে কার্যত আর কোনও বাধা রইল না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement