আগাম খবর না দিয়ে আচমকা ছুটি নিয়ে মোবাইল বন্ধ করে বসে থাকায় এক শিশু বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে নিখোঁজ ডায়েরি করলেন বর্ধমানের কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার।
শেখ সৈকত আলি নামে ওই চিকিৎসকের বাড়ি হুগলির গুড়াপে খেজুরডিহি এলাকায়। কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার অভিরূপ মণ্ডল বলেন, “বুধবার ওঁর পুরো ছুটি ও বৃহস্পতিবার অর্ধেক ছুটি ছিল। উনি আমায় এসএমএসে জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে কাজে যোগ দেবেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সারা দিন তিনি কাজে যোগ দেননি, যোগাযোগও করেননি। তাঁকে খুঁজে বের করার জন্যই পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।”
কালনা হাসপাতালে শিশু বিভাগ চালান দুই চিকিৎসক। এর মধ্যে এক জন স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে একটি কোর্স পড়াতে গিয়েছেন। অপর জন, শেখ সৈকত আলি যে শুধু হাসপাতালে আসেননি তা নয়, বিভিন্ন নম্বর থেকে চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সুপার নিজে এসএমএস করলেও উত্তর আসেনি। ১১টা পর্যন্ত শিশু বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় রোগীর আত্মীয়েরা সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। সামাল দিতে সুপার শিশু বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা করেন। পরে চিকিৎসকের হদিস না পাওয়ার বিষয়টি কালনা থানায় জানান সুপার। তারা জানায়, গুড়াপ যে এলাকায় পড়ে, সেই ধনেখালি থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। রাতে এক বার ফোন ধরলেও দু’বার ‘হ্যালো হ্যালো’ বলে তিনি কেটে দেন। প্রতিক্রিয়া চেয়ে এসএমএস করা হলেও জবাব দেননি। কালনা মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষচন্দ্র মণ্ডল জানান, কাজে যোগ দেওয়ার কথা থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসক না এলে, সুপারের এক্তিয়ার রয়েছে পুলিশকে জানানোর।