টিকাকরণের সুফল প্রচারে ইমামরা

ধুলিয়ান পুর-এলাকায় শিশুদের টিকাকরণের বেহাল দশায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকে টিকাকরণের হার যেখানে ৭০ শতাংশেরও বেশি, সেখানে দু’মাস আগেও ধুলিয়ান শহরে শিশুদের টিকাকরণের হার ছিল মাত্র ৩৫ শতাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধুলিয়ান শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫০
Share:

ধুলিয়ান পুর-এলাকায় শিশুদের টিকাকরণের বেহাল দশায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকে টিকাকরণের হার যেখানে ৭০ শতাংশেরও বেশি, সেখানে দু’মাস আগেও ধুলিয়ান শহরে শিশুদের টিকাকরণের হার ছিল মাত্র ৩৫ শতাংশ। টিকাকরণের হার বাড়াতে তাই শহরের ১৯টি ওয়ার্ডে ৪৮টি বিশেষ শিবির খুলে টিকাকরণের বিশেষ কর্মসূচি আগেই নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার সামশেরগঞ্জ ব্লক অফিসে এলাকার প্রায় ১৪০ জন ইমাম ও মোয়াজ্জেমকে নিয়ে বৈঠক করে টিকাকরণের সুফল নিয়ে প্রচারের জন্য আবেদন জানালেন স্থানীয় স্বাস্থ্য ও ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

সামশেরগঞ্জের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সজল পণ্ডিত জানান, ২০১১ সালে ধুলিয়ান শহরে মাত্র ১১ শতাংশ শিশু ছিল টিকাকরণের আওতায়। ২০১৪ সালের শুরুতে সেই সংখ্যা বহু চেষ্টার পর ৩৫ শতাংশে দাঁড়ায়। এতদিন মাত্র ১০টি স্বাস্থ্য বুথে প্রতি মঙ্গলবার শিশুদের টিকাকরণ করানো হত। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ধুলিয়ান শহরে প্রতি দু’সপ্তাহ অন্তর ৪৮টি বিশেষ টিকাকরণ শিবির খুলে ১৯টি ওয়ার্ড জুড়ে টিকাকরণের কাজ চলছে। ফলে ৩৫ শতাংশ থেকে টিকাকরণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই হার ৮০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখে শহরে প্রচারের কাজে নামানো হয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ৫৩ জন কর্মীকে।

টিকাকরণের হার বাড়াতে সামাজিক ভাবে প্রচারেরও চেষ্টা চলছে। ইমামদের নিয়ে ৪টি সভা করা হয়েছে ইতিমধ্যে। ধুলিয়ানের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিচিত্রা পল্লর মসজিদের ইমাম আব্দুর রহিম বলেন, “বুধবার ব্লক অফিসে শহরের শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারি ভাবে যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে সকলেই উদ্বিগ্ন। সভায় ঠিক হয়েছে এই সামাজিক কাজে এলাকার সমস্ত ইমাম প্রচারে নামবেন। আমি ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছি। প্রতিদিন নমাজ শেষে বলছি, ওই সব সরকারি স্বাস্থ্যশিবিরে শিশুদের নিয়ে যেতে। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। শিশুরাই ভবিষ্যত্‌। তাদের সুস্থ জীবন আমাদের লক্ষ্য।”

Advertisement

ব্লক অফিসে চুরি। মঙ্গলবার রাতে বড়ঞা ব্লক অফিসের গুদামঘরের তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার বাসন-পত্র চুরি করে পালাল একদল দুষ্কৃতী। ওই ঘরে ব্লকের স্কুলের মিড-ডে-মিলের অ্যালুমিনিয়ামের বাসন-পত্র রাখা ছিল। রাত ৮টা পর্যন্ত বিডিও বাদশা ঘোষাল অফিসেই কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলেন। নৈশপ্রহরী সেই সময় খেয়েদেয়ে টহল দিতে গিয়ে গোডাউনের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখেন। পুলিশে অভিযোগ হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement