জলের হাহাকার বাঁকুড়া মেডিক্যালে, বিক্ষোভ-অবরোধ

এ দিক ও দিক তাকালেই চোখে পড়বে জলের ট্যাঙ্ক। কিন্তু, কল খুললে জল মিলছে না। বেশ কয়েক দিন ধরেই বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ রকমই জলের হাহাকার চলছিল। এমনকী, হাসপাতালের ওয়ার্ডেও মাঝে মাঝেই জল মিলছিল না বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কাজের কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অবরোধ-আন্দোলনে নামলেন হাসপাতালের রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:০৩
Share:

এ দিক ও দিক তাকালেই চোখে পড়বে জলের ট্যাঙ্ক। কিন্তু, কল খুললে জল মিলছে না। বেশ কয়েক দিন ধরেই বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ রকমই জলের হাহাকার চলছিল। এমনকী, হাসপাতালের ওয়ার্ডেও মাঝে মাঝেই জল মিলছিল না বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কাজের কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অবরোধ-আন্দোলনে নামলেন হাসপাতালের রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে জলের পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে বাঁকুড়া শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করেন বেশ কিছু রোগীর আত্মীয়। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দিলেও হাসপাতালের মূল দরজার সামনে তাঁরা কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিষ্ণুপুরের দেবু চক্রবর্তী, ছাতনার অষ্টমী মাহাতো, বেলিয়াতোড়ের বৃন্দাবনপুরের সুদর্শন চক্রবর্তীরা জানান, গত সাত-আট দিন ধরেই হাসপাতাল চত্বরের ট্যাঙ্কগুলি দিনের বেশির ভাগ সময় জলশূন্য হয়ে থাকছে। ওয়ার্ডেও সারা দিনে দফায় দফায় দেখা দিচ্ছে জলের সঙ্কট। তাঁদের কথায়, “বাধ্য হয়ে আমাদের আশেপাশের দোকানগুলি থেকে জল কিনে খেতে হচ্ছে। রোগীদেরও সেই কেনা জলই খাওয়াতে হচ্ছে। চাহিদা বেশি বুঝে জলের বোতলের দামও বেশি নিচ্ছেন দোকানদারেরা।” অবিলম্বে জলের পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বাঁকুড়া মেডিক্যালের এক আধিকারিক বলেন, “কিছু দিন ধরে জলের সমস্যা চলছে। এমন পরিস্থিতি যে মাঝরাতে জলের পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের ছোটাছুটি করতে হচ্ছে।” কেন এমন হচ্ছে? দ্বারকেশ্বর নদ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল তুলে এই হাসপাতালে জল সরবরাহ করা হয়। পূর্ত দফতর (মেকানিক্যাল) সূত্রে খবর, মোট আটটি পাম্পের মাধ্যমে জল তোলা হয়। কিন্তু, নদী শুকিয়ে যাওয়ায় ও জলের স্তর নেমে যাওয়ায় পাম্পে জল উঠছে না। আর তার জেরেই এই বিপত্তি।

Advertisement

হাসপাতালের সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “প্রতি বছর গ্রীষ্মেই এখানে জলের সমস্যা হয়। জলস্তর নেমে যাওয়াতেই পাম্পে জল কম ওঠে। আমি পূর্ত দফতরকে (সিভিল) দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement