গাফিলতির অভিযোগ, মার দুই চিকিৎসককে

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে আক্রান্ত হলেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। সোমবার বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ মালদহ শহরের বাঁশবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ৩২ বছরের এক যুবককে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়। অভিযোগ, চিকিৎসকরা ওই যুবককে দীর্ঘক্ষণ না দেখে জরুরি বিভাগের বাইরে ফেলে রেখেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৪ ০৩:০৬
Share:

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে আক্রান্ত হলেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। সোমবার বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ মালদহ শহরের বাঁশবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ৩২ বছরের এক যুবককে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়। অভিযোগ, চিকিৎসকরা ওই যুবককে দীর্ঘক্ষণ না দেখে জরুরি বিভাগের বাইরে ফেলে রেখেছিলেন। তারই জেরে রাজকুমার বর্মন নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগে তুলে জরুরি বিভাগে ঢুকে চিকিৎসক গৌরব মুখোপাধ্যায় ও বিশ্বনাথ কাঁশারির উপর চড়াও হয় মৃতের স্বজনরা। শুরু হয় বেপরোয়া মারধর। স্বাস্থ্যকর্মীরা ছুটে গিয়ে দুই চিকিৎসককে উদ্ধার করে। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের হাতে তুলে দেন। কিন্তু কেউই থানায় কোনও অভিযোগ না জানানোয় দুপুরের পর পুলিশ ওই চার যুবককেই ছেড়ে দেয়।

Advertisement

মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় গাড়ির চালক রাজকুমার বর্মন এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। তাঁর বাবা মোহনলালবাবুর অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলেও কোনও চিকিৎসককেই পাওয়া যায়নি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর সেখানেই তাঁর ছেলে মারা যায়। এরপরেই পাড়ার ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে জরুরি বিভাগের দুই চিকিৎসককে মারধর করে বলে তিনি জানান।

প্রহৃত চিকিৎসক গৌরববাবু বলেন, “মৃত অবস্থায় ওই যুবককে আনা হয়েছিল। কাজেই মৃতকে দেখার প্রশ্ন ওঠে না। গাফিলতির প্রশ্নও অবান্তর। আচমকা চার-পাঁচ জন যুবক জরুরি বিভাগে ঢুকে আমাদের দু’জনকে কিল-চড় মারতে থাকেন। ” মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার মহম্মহ আব্দুর রসিদ জানান, থানায় অভিযোগ জানানো হবে। তবে মেডিক্যল কলেজ হাসপাতালের সুপার থানায় কারও বিরুদ্ধেই অভিযোগ জানাননি। ইংরেজবাজার থানার আইসি দিলীপ কর্মকার বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অভিযোগ জানানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরে ফোন করে জানান, চিকিৎসকদের মারধর করেছে, ওঁদের বকঝকা করে ছেড়ে দিন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement