সকালে উঠে পা ফেলতে কষ্ট হয়? অসহ্য গাঁটে ব্যথা? রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হলে গাঁটের ব্যথা বাড়ে। ডেকে আনে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও। জেনে নিন ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী খাবেন, কী খাবেন না।
১। ওজন- রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ যদি বেশি থাকে তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন বেশি হলে গাঁটে ব্যথা বাড়ে। পিউরিনের মাত্রা বেশি এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।
২। জটিল কার্বহাইড্রেট- ফল, সবজি, শস্য জাতীয় খাবার ডায়েটে বেশি রাখুন। এগুলোতে জটিল কার্বহাইড্রেট থাকে। ময়দার রুটি, হোয়াইট ব্রেড, কেক, ক্যান্ডি, কোল্ড ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন।
৩। জল- সারা দিন অন্তত আট থেকে ১০ গ্লাস জল খেয়ে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। জল বেশি খেলে গাঁটের ব্যথা কম হবে। তার সঙ্গেই ফলের রস খান।
৪। ফ্যাট- স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রেড মিট, হাই ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার, ফ্যাটি পোলট্রি খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫। প্রোটিন- প্রতি দিনের ডায়েটে প্রোটিনের পরিমাণ কমান। মাছ, মুরগির মাংসের বদলে লো ফ্যাট ইওগার্ট, স্কিমড মিল্ক দিয়ে শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ মেটান।
৬। অ্যালকোহল- অতিরিক্ত অ্যালকোহল ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায়। ডিহাইড্রেশনের ফলে গাঁটে ব্যথা বাড়ে।
৭। ভিটামিন সি- ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। প্রতি দিনের ডায়েটে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন সি রাখা যায়।
৮। কফি- চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন পরিমিত কফি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকলে কফি খাবেন না।
৯। চেরি- ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে চেরি।