সুস্থ থাকতে হলে খাবার সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। ফাইল চিত্র
আজ, জুন মাসের ৭ তারিখ বিভিন্ন দেশে পালন করা হচ্ছে ‘বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর উদ্যোগেই প্রতি বছর এই দিনে থাকবে নানা কর্মসূচি। খাদ্য সংক্রান্ত সচেতনতামূলক নানা বার্তা ছড়ানোই এই ভাবনার মূলে। খাবারের মাধ্যমে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে কোনও অসুখ, সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক করতে চান গবেষকেরা। এ বছর, করোনাভাইরাস অতিমারির মাঝে, এই দিনটিকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন ‘হু’-এর বিজ্ঞানীরা।
করোনাভাইরাস অতিমারির পিছনে আসল কারণ কী, তা নিয়ে খোঁজ চলছে অনেক দিন ধরেই। গবেষকেদের একাংশের দাবি, চিনের উহান শহরে একটি খাবারের বাজার থেকে ছড়াতে শুরু করেছিল এই ভাইরাস। তার সত্যতা যাচাই করতে চলছে আরও গবেষণা। তবে এর মধ্যে হু-এর বার্তা, আগামী দিনে সুস্থ থাকতে হলে এখন সুরক্ষিত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। খাদ্য থেকে যেন অসুখ না ছড়ায়, খেয়াল রাখতে হবে সকলকে।
এমন একটি দিন যে পালন করা জরুরি, ২০১৬ সাল থেকেই তা মনে করছিলেন অনেকে। আলোচনাও হয়েছে নানা স্তরে। গত বছর ঘোষণা করা হয়, জুনের ৭ তারিখ পালন হবে বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস। খাবারের সঙ্গে স্বাস্থ্যের যোগ যে অনেক, তা নিয়ে আলোচনা এবং সচেতনতা বাড়াবে এই দিন। তা মাথায় রেখেই কর্মসূচি তৈরি করা হবে পরবর্তীকালে। ‘হু’-এর বক্তব্য, খাবার সুরক্ষিত রাখা কোনও এক ব্যক্তির কাজ নয়। তা সম্ভবও নয়। ধাপে ধাপে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। তবেই আগামী দিনে খাবারের মাধ্যমে অসুখ ছড়ানোর প্রবণতা কমতে পারে।