আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ক্যানসার নিয়ে একদিকে যেমন রয়েছে ভীতি, তেমনই রয়েছে ভ্রান্ত ধারণা। শুধু শারীরিক যন্ত্রণা নয়, জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা, অর্থকষ্ট, সামাজিক অবহেলার জেরে ক্রমশ একা হয়ে পড়েন আক্রান্তেরা। ক্যানসারের চিকিত্সায় তাই প্রয়োজন সাইকোলজিক্যাল থেরাপিও। জেনে নিন কী ভাবে পাশে থাকবেন আক্রান্তের।
কী কী কারণে অবসাদ
শারীরিক অসুস্থতা, দুর্বলতা, ক্লান্তি, যন্ত্রণা শারীরিক অক্ষমতার কারণে কাজ করতে না পারা বাড়িতে আটকে থেকে সামাজিক জীবন থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া চিকিত্সার বিপুল খরচের জেরে অর্থকষ্ট রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়ে আয় কমে আসা জীবন নিয়ে প্রতি মুহূর্তের অনিশ্চয়তা অসহায়তা ও একা হয়ে পড়া
ক্যানসার আক্রান্তকে কী ভাবে সাহায্য করবেন-
নতুন জীবন দর্শন তৈরির চেষ্টা করুন। যা বদলানো যাবে না তা নিয়ে চিন্তা না করে, যা বদলাতে পারবেন তা নিয়ে ভাবতে সাহায্য করুন রোগীকে। ক্যানসারকে সরলীকরণ করবেন না। এই রোগ প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আলাদা প্রভাব ফেলে। তাই প্রত্যেক রোগীই একে অপরের থেকে আলাদা। রোগীকে বোঝার চেষ্টা করুন। সহানুভূতির বদলে আক্রান্তের প্রতি সহমর্মী হন। রোগীকে তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করতে সাহায্য করুন। পরিবার ও বন্ধুদের সহমর্মিতাই অবসাদ কাটাতে সাহায্য করবে। অন্য ক্যানসার বিজয়ীদের সঙ্গে কথা বলান। এতে মনের জোর বাড়বে। আধ্যাত্মিক পরামর্শও মনকে শান্ত করতে সাহায্য করবে। ক্যানসার হওয়া মানেই কিন্তু জীবন শেষ নয়। হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চললে যন্ত্রণা, অবসাদের মোকাবিলা সহজ হবে। বিশ্রাম, পুষ্টি, শরীরচর্চা, ব্যক্তিগত ভাললাগার উপর জোর দিন। পেশাদার কাউন্সেলিং, গ্রুপ থেরাপির সাহায্য নিন। রোগীকে মাইন্ড-বডি টেকনিক, রিল্যাক্সেশন থেরাপি, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, এনার্জি থেরাপির মাধ্যমে সাহায্য করুন।
আরও পড়ুন: ক্যানসার রুখতে রোজ খান ব্রকোলি