ঘরের মধ্যে একটা অংশ একটু আলাদা করে নিজের কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। ফাইল চিত্র
কার্যত ঘরে বসেই কাটছে গোটা সময়। বাড়িতেই অফিস এখন। অন্য কোথাও যাওয়ার উপায়ও নেই।
আমরা পরিচিত হয়ে গিয়েছি এক নতুন লব্জে। ওয়র্ক ফ্রম হোম। বিগত ১ বছরের কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে, সারা পৃথিবী এই নতুন আমদানিটিকে বিকল্প হিসেবে হলেও বেশ সাদরেই গ্রহণ করেছে। এর ভিত্তিতে গড়ে উঠছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। বাড়ি বসেই কেউ ভিন্ দেশের বা রাজ্যের কোনও প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন। সেইদিক থেকে ব্যাপারটা অভিনব, কিন্তু এর সঙ্গে জুড়ছে মানসিক ক্লান্তি কারণ কাজটি যতই ভাল লাগার হোক না কেননিজের বাড়িতে তো আর অফিসের সেই পরিবেশ খুঁজে পাচ্ছেন না। কিংবা ব্যাঘাত ঘটছে মনোসংযোগের। কিন্তু উপায় কী? বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন নিজের মতো অফিস।
কম জায়গায় কী ভাবে বানাবেন অফিস?
অফিসের জন্য আলাদা ঘর করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। সেটা না পারলে ঘরের মধ্যে একটা অংশ একটু আলাদা করে নিজের কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
অন্দরসজ্জার শিল্পী ঊর্বশী বসু বলছেন, ‘একটি ঘরের দেওয়ালের রং বা আসবাবের চরিত্রের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। ঘরের রং যদি খুব গাঢ় হয়, তা হলে কাজে মন না-ও বসতে পারে। তাই হাল্কা রঙের ঘর বেছে নিতে পারেন। সেটা সম্ভব না হলে ঘরে হাল্কা রঙের বিছানার চাদর, পর্দা ব্যবহার করুন। পরিচ্ছন্ন ঘর হলে কাজেও মন বসবে।’
বাড়িতে টেবল থাকলে খুব ভাল, না হলে কিনে নিন ল্যাপটপ রাখার টুল। বাড়িতে কাজ করার প্রথম এবং প্রাথমিক শর্তই হল ইন্টারনেট ব্যবস্থা ঠিক রাখা, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
কাজ করতে করতে চা কিংবা কফিতে চুমুক দেওয়া অভ্যাস? বাড়িতে ইলেকট্রিক কেটলি, টি-ব্যাগ রাখুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে মনের তৃপ্তিও হবে। পড়ানোর কাজ যাঁদের, তাঁদের জন্য এই নিজস্ব কাজের জায়গা বার করে নেওয়া খুব দরকার। বাড়ির অন্য জায়গার শব্দ যেন পড়ানোয় প্রতিবন্ধকতা না সৃষ্টি করে। কাজে আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হাল্কা স্নিগ্ধ কোনও মিউজ়িক শুনতে পারেন।
ক্লান্তি কাটাবেন কী করে?
ঘরে রাখতে পারেন তাজা ফুল। তা কাজের ক্লান্তিকে দূর করতে পারে। যেহেতু বাড়িতে কাজ মানেই ল্যাপটপ নিয়ে, তাই আলো-হাওয়া চলাচল করে এমন একটা জায়গায় ল্যাপটপ রেখে কাজ করতে পারেন। কাজ করতে করতে ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে একটু বাইরে তাকিয়ে নিলে তা মন তো বটেই, চোখের জন্যও স্বাস্থ্যকর।
প্রথম ঢেউ, দ্বিতীয় ঢেউ পেরিয়ে সামনেই তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা! তাই আপাতত দীর্ঘ সময়ের কথা ভেবে আপনার বাড়িটাই হোক না হয় 'মনের মতো' নিজের অফিস!