‘ইংলিশ ভিংলিশ’ ছবির একটি দৃশ্যে শ্রীদেবী। ছবি: সংগৃহীত।
বিগত ১৩ বছর ধরে প্রতি দিন ঘরের যাবতীয় কাজ সামলে আসছেন। ‘সিভি’ বা জীবনলিপিতে সেই অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেই চাকরি খুঁজছেন এক মহিলা। তেমন একটি পোস্টই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে অনেকেরই ধারণা, বিয়ের পর মেয়েদের কাজই হল পরিবার সামলানো। বাড়ির সকলের ঘুম ভাঙার আগে চোখ খুলতে হবে গৃহকর্ত্রীকে। জলখাবার থেকে শুরু করে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত উদরাস্ত পরিশ্রম করতে হবে। সন্তানের জন্ম দেওয়া, তাকে বড় করা, তাদের স্কুল-কলেজের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব সামলানো— সব দায়িত্ব যেন অলিখিত ভাবে একা তাঁরই। এত কিছু করার পরেও অনেকেই মনে করেন সংসার করার থেকে সহজ কাজ বোধ হয় আর কিছুই হতে পারে না। অথচ বিনা পারিশ্রমিকে দিনের পর দিন নিঃশব্দে করে আসা এই অভিজ্ঞতার কোনও স্বীকৃতি থাকে না।
সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ‘সিভি’র একটি অংশ। ছবি: সংগৃহীত।
বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এবং প্রভাবী যুগাংশ চোকরা নামের এক ব্যক্তিই তাঁর সমাজমাধ্যমে ওই মহিলার সিভি-র সেই বিশেষ অংশটি পোস্ট করতেই তা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৯ থেকে এখনও পর্যন্ত ওই মহিলা বাড়ির সমস্ত কাজ সময়মতো করে এসেছেন। সংসার-সন্তান সামলেছেন প্রায় একা হাতেই। শুধু তা-ই নয়, সন্তানদের বড় করার পর তাদের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব মেটানোর দায়িত্বও ছিল তাঁর। এই সবই তাঁর ‘এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি’-র মধ্যে পড়ে। এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যদের খেয়াল রাখা তো আছেই। প্রতিযোগীতার বাজারে যখন চাকরিপ্রার্থীরা আলাদা লোক ভাড়া করে ‘সিভি’ তৈরি করানোর হুজুগে মেতেছেন, তখন নিজের সিভিতে এমন সত্যি কথা তুলে ধরার জন্য ওই মহিলাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।