Unusual jobs

মলত্যাগ করেই বছরে দেড় কোটি টাকা আয়! ‘সাফল্যের রহস্য’ নিজের মুখেই বাতলে দিলেন তরুণী

একটি গবেষণা সংস্থার জন্য মল দান করেই হওয়া যায় কোটিপতি। মল দান করেই বছরে ১ লক্ষ আশি হাজার ডলার আয় করা যেতে পারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা দেড় কোটি টাকার কাছাকাছি। এমনই দাবি এক তরুণীর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২২ ১৫:৩৩
Share:

উপরি আয়ের পথ খুঁজছেন? —ফাইল চিত্র

চাকরির পরীক্ষা দিতে গেলেই প্রকৃতির ডাক আসে? তাতেই হতে পারে বাজিমাত। শরীর ঠিক রাখতে নিয়মিত করতে হবে, আবার ঠিক মতো করতে পারলে খুলে যাবে উপরি আয়ের পথ! এমনই পেশার হদিস দিলেন এক তরুণী। সমাজমধ্যমে ওই তরুণীর দাবি, একটি গবেষণা সংস্থার জন্য মল দান করেই হওয়া যায় কোটিপতি। মল দান করেই বছরে ১ লক্ষ আশি হাজার ডলার আয় করা যেতে পারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় কোটি টাকার কাছাকাছি।

Advertisement

ইসা ফিডেলিনো নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন তরুণী। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, আজকাল অনেকেই টাকা কামাতে অনেক রকম কাজ করেন। কিন্তু ঠিক রাস্তা জানা থাকলে, কম পরিশ্রমেই মিলতে পারে ‘সাফল্য’। পথ হিসাবে একটি বিকল্প পেশার সন্ধান দিয়েছেন তিনি। নেটাগরিকদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন— “মল দান করে ডলার কামাতে চান?”

কী ভাবে তা সম্ভব, সে কথাই নিজের ভিডিয়োতে জানিয়েছেন তরুণী। তিনি জানান, ‘হিউম্যান মাইক্রোবস’ বলে একটি সংস্থায় মল দান করলেই মিলতে পারে টাকা। প্রতি বার মল দান করে পাঁচশো ডলার পাওয়া যায়। ভারতীয় মুদ্রায় যা একচল্লিশ হাজার টাকারও বেশি। আমেরিকা ও কানাডার মানুষরা মল দান করতে পারেন।

Advertisement

সমাজমধ্যমে ওই তরুণীর দাবি, একটি গবেষণা সংস্থার জন্য মল দান করেই হওয়া যায় কোটিপতি। —ফাইল চিত্র

কিন্তু ওই সংস্থা কেন মল সংগ্রহ করে? সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এখন বহু মানুষই পেটের সমস্যায় ভুগছেন। পেটে যে উপকারী অণুজীবগুলি থাকে, সেগুলির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়া এর অন্যতম প্রধান কারণ। পেটে থাকা অনুজীবগুলি খাদ্যনালিতে যে বিশেষ পরিবেশ তৈরি করে, তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘গাট মাইক্রোবায়োম’। সেই পরিবেশ কী ভাবে ভাল রাখা যায়, তা জানতে নিয়মিত মল থেকে পাওয়া অণুজীব নিয়ে পরীক্ষা চালায় সংস্থাটি। সে জন্যই মল দরকার হয় তাদের। তবে চাইলেই যে কেউ সেখানে মল দান করতে পারেন না। রীতিমতো পরীক্ষা দিতে হয় তার জন্য। প্রার্থীদের মলের নমুনাও আগেই পরীক্ষা করে দেখেন গবেষকরা। তার পরই নেওয়া হয় মল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement