বিয়ে ভেঙে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই সফল ছবি সৌজন্য: হার স্টোরি
অল্প বয়সে বিয়ে, ছিল না আর্থিক সঙ্গতিও। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নিগ্রহ। কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকে আরও বাড়ে স্বামীর নির্যাতন। শেষ পর্যন্ত আর থাকতে পারেননি মহারাষ্ট্রের সাতারার বাসিন্দা শরওয়াত গুলামকর বাঘওয়ান। শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসেন তিনি। শুরু করেন নিজের ব্যবসা।
২০০০ সালে বিয়ে ভাঙার পর অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন তাঁর ভবিষ্যত নিয়ে, কটাক্ষও করেছিলেন কেউ কেউ। কপর্দকশূন্য হয়ে বাপের বাড়িতেই ফিরে যেতে বাধ্য হন তিনি। শরওয়াতের বাবা বাড়ি বাড়ি খাবার সরবরাহ করার কাজ করতেন। বাপের বাড়ি ফিরে সেই কাজেই হাত লাগান তিনি। কিন্তু বছর খানেকের মধ্যেই মারা যান তাঁর বাবা, ফলে আরও এক বার জীবন ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়। কঠিন সময়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান তাঁর কাকা। কাকার সহায়তাতেই ঋণ নিয়ে ২০০৪ সালে মারিয়া বেকারস অ্যান্ড ফুডস বলে একটি খাবারের দোকান খোলেন তিনি।
সে দিনের সেই ছোট্ট দোকানই এখন প্রতিষ্ঠিত। সংবাদমাধ্যমকে শরওয়াত জানিয়েছেন, এখন প্রতি মাসেই লক্ষাধিক টাকার বিক্রি হয় দোকানে। পাওয়া যায় নিজস্ব হেঁশেলে তৈরি প্রায় ২০ ধরনের বিস্কুট ও কেক। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারটি হল নানখাটাই। মূলত পাহাড়ি অঞ্চলের এই কুকি। শরওয়াত জানাচ্ছেন, প্রতি দিন গড়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কেজি নানখাটাই তৈরি হয় তাঁর দোকানে।