মিসি আগে অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। ছবি: সংগৃহীত
চাপ কমাতে জড়িয়ে ধরেন তিনি। আর সেই জড়িয়ে ধরার জন্যই ১,৬০০ ডলার দিতেও রাজি হন পুরুষরা। ভারতীয় মুদ্রায় যা এক লক্ষ টাকারও বেশি। এমনই দাবি করলেন অস্ট্রেলিয়ার এক প্রাক্তন সেনাকর্মী। মিসি রবিনসন নামের ওই মহিলার দাবি, তিনি এক জন ‘আলিঙ্গন থেরাপিস্ট’। জড়িয়ে ধরাই চিকিৎসা পদ্ধতি।
৪৩ বছর বয়সি মিসি জানিয়েছেন, বিভিন্ন সমস্যা ও চাপে ভোগা মানুষদের জড়িয়ে ধরে আরাম দেন তিনি। তাঁর দাবি, ঠিক মতো জড়িয়ে ধরলে দেহ, মন ও আত্মা, সবই সুস্থ ও চাপমুক্ত হয়ে ওঠে। তাঁর মতে, বহু মানুষ প্রতিনিয়ত একাকিত্বের সমস্যায় ভোগেন। সেই সমস্যা কমাতে তাঁদের একটুখানি স্পর্শের প্রয়োজন হয়। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের আসক্তি ও বদ অভ্যাস দূর করতেও এই থেরাপি বেশ কার্যকর। সামান্য স্পর্শ পেলে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে বলেও মত তাঁর।
মিসি আগে অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসর নেওয়ার পর এই পেশা বেছে নেন তিনি। তবে গোটা বিষয়টির সঙ্গে যৌনতা বা শরীরী আকর্ষণের কোনও যোগ নেই বলে দাবি তাঁর। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, অনেকেই ভাবেন বিষয়টি বুঝি যৌনপেশা। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত বলে দাবি তাঁর। রীতিমতো চুক্তিপত্র সই করতে হয় তাঁর সঙ্গে দেখা করার আগে। সেই চুক্তিপত্রে লেখা থাকে, স্তন ও যৌনাঙ্গ পোশাকে ঢাকা থাকবে থেরাপি চলার সময়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যাঁরা তাঁর কাছে আসেন তাঁরা পুরুষ। কখনও কখনও জড়িয়ে ধরলে তাঁরা যে উদ্দীপিত হয়ে পড়েন না, তা নয়। মিসির দাবি, তেমন কিছু হলে প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই সেই সমস্যার সমাধান করেন তিনি।