প্রতীকী ছবি।
রোগা হতে সকলেই চায়। তবে এত দিনে আমরা এটাও বুঝে গিয়েছি ব্যাপারটা যতটা সহজ ভাবা হয়, মোটেও ততটা নয়। ওজন কমানোর চেষ্টা করেও মাঝপথে হাল ছেড়ে দেন অনেকেই। কেন বলুন তো কেউ কেউ পারেন আর বাকিরা পারেন না? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর অনেকটাই নির্ভর করছে আপনার ধরনের ওপর।
নিউট্রিশনিস্টরা জানাচ্ছেন, দিনে অল্প অল্প করে ৬ বার খেতে পারলেই কেল্লাফতে। যতবার খাবেন বার বার সেই ক্যালোরি ঝরাতে শরীরের তত বেশি এনার্জি প্রয়োজন হবে। শরীর এতে যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা কমে, তেমনই কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে। আর তার সঙ্গেই বেড়ে যায় মেটাবলিজমের মাত্রা। যা স্বাভাবিক ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কিন্তু যদি দিনে তিন বার খাওয়া হয়, তা হলে খিদে অনেক বেড়ে যায়। ফলে খিদের সঙ্গে তাল রাখতে বেশি খাওয়া বা মিষ্টি, ভাজা জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যদিও এই বিষয়ে একমত নন সব নিউট্রিশনিস্টরা।
আরও পড়ুন: চিনির বদলে খাবারে ব্যবহার করুন এই সব ন্যাচারাল সুইটেনার
আরও পড়ুন: বেশি কফি খেলে কেন ডিহাইড্রেশন হয়?
একদল যেমন মনে করেন দিনে ৬ বার অল্প অল্প করে খাওয়া ও মিড মিল স্ন্যাকসের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ওজন কমানোর রহস্য, অন্য দলের মতে কত বার খাচ্ছি তার উপর নির্ভর করে না কিছুই। দিনে তিন বার খেয়েও একই পরিমাণ ক্যালোরি ঝরানো যায়। পুরোটাই নির্ভর করছে এক্সারসাইজের ওপর। আর নিয়মও সকলের জন্য এক নয়। কেউ যেমন ৬ বার খেয়ে ওজন কমাতে পারেন, কারও ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি ওজন কমে দিনে ৩ বার খেয়েই। আমাদের বুঝতে হবে কোনটা নিজেদের জন্য সুবিধাজনক এবং কোন প্রক্রিয়ায় বেশি ভাল ফল পাচ্ছেন। সেই অনুযায়ী বেছে নিতে হবে নিজের ওয়েট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান।