সব কাজেই কি আপনার দেরি হয়ে যায়? রোজই কি অপনি দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন? দেরি করে সব জায়গায় পৌঁছনোর জন্য কোথায় আপনি হাসির পাত্র, কোথাও বিরক্তির। ভাবেন আপনার মতো কাজ তো আর অন্যদের নেই। থাকলে তারাও বুঝতেন। অন্য দিকে ভাবেন দেরি করতে চান না, কিন্তু হয়ে গেল কী করা যাবে। কেন এমনটা হয় বলুন তো? দেরি করাটা কিন্তু আসলে একটা অভ্যাস। কাজ, ব্যস্ততা, চিন্তা বেশির ভাগে ক্ষেত্রে এর পুরোটাই অজুহাত। জেনে নিন কেন আপনি রোজ দেরি করেন।
১। গুরুত্ব- যখন আপনি নিজের কাজকে গুরুত্ব দেবেন তখন সেই কাজের জন্য আপনি সঠিক সময় পৌঁছবেন। মনে আছে যখন শুরু শুরুতে প্রেম করতেন? একদম সঠিক সময়ে, সঠিক জায়গায় পৌঁছে যেতেন।
২। দায়িত্ব-দেরি করে পৌঁছনো বোঝায় আপনি মোটেই নিজের কাজ, কর্তব্যের প্রতি দায়িত্বশীল নন। মুখে বলেন বাড়ির হাজারটা দায়িত্ব সামলাতে হয় বলে আপনি অফিসে ঠিকঠাক পৌঁছতে পারেন না। আদপে কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়। দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। যাঁরা দায়িত্বশীল তাঁরা সব ব্যাপারেই দায়িত্ব নেন। যাঁরা নন তাঁরা কোনও কিছুই ঠিকঠাক করে উঠতে পারেন না। খেয়াল করে দেখবেন যাঁরা রোজ দেরি করেন তাঁরা মূলত দায়িত্বজ্ঞানহীন।
৩। লক্ষ্যহীনতা- যদি আপনার জীবনে স্বপ্ন থাকে, সুস্পষ্ট লক্ষ্য থাকে, প্রেরণা তাহলে আপনি কখনই কাজের জায়গায় পৌঁছতে দেরি করবেন না। যেমন চলছে চলুক, যা হচ্ছে হোক, এমন ঢিলেঢালা মানসিকতার জন্য আপনার রোজ দেরি হয়।
৪। আত্মকেন্দ্রিকতা- এক জন ঠিক সময়ে না পৌঁছলে কিন্তু সেই কাজের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও অসুবিধা হয়। আপনি দেরি করছেন মানে অন্যদের অসুবিধার কথা ভাবছেন না। আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবের জন্যই এমনটা করে থাকেন আপনি।
৫। অবসাদ- আপনি কি কোনও কারণে অবসাদে ভুগছেন? অতিরিক্ত স্ট্রেস বা ব্যক্তিগত জীবনে কোনও সমস্যার কারণে অবসাদে ভুগলে কোনও কাজই ঠিকমতো হয় না। রাতে ঘুমও ঠিক মতো হবে না, সকালে উঠতে দেরি হবে। সারা দিন আজেবাজে চিন্তা মাথায় আসবে। সব কাজে দেরি হবে।
৬। অগাছালো- অনেক সময় বেরনোর আগে ঠিক কাজের জিনিসটা খুঁজে পান না। চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করেন। এই অগোছালো স্বভাবের জন্যও কিন্তু দেরি হয়। কাজের জিনিস হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন।
৭। ছোটবেলার অভ্যাস- যদি ছোট থেকেই আপনার দেরি করা অভ্যাস থাকে তাহলে বড় হলেএ তা থেকে যায়। যাঁরা স্কুল, কলেজে দেরি করে অভ্যস্ত তাঁরাই পরবর্তীকালে অফিসেও দেরি করে যান। পরিবারে দেরি করার পরিবেশ, রীতি, অভ্যাস থাকলে আমরা সেটাই শিখি।