জন্মের সময় চুল থাকল কি না থাকল, তার উপর নির্ভর করে না পরে সেই শিশুর চুল হবে কি না। ছবি: সংগৃহীত
জন্মের সময়ে সব শিশুর মাথায় চুল থাকে না। আবার কোনও কোনও শিশুর অনেক চুল থাকে। কিন্তু কেন এমন হয়? এর উত্তর অনেকেরই অজানা। এ প্রশ্নেরই একটি সম্ভাব্য উত্তর মিলল কিছু গবেষকের কথায়।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, জিনগত কারণ এবং ডিএনএ-র প্রভাবেই এমন হতে পারে। সাধারণত গর্ভাবস্থার ৩০তম সপ্তাহের কাছাকাছি গর্ভের সন্তানের চুল তৈরি হয়। যদি সেই সময়েই শিশুর মাথায় চুল গজাতে শুরু করে, তা হলে সেই শিশুর চুল নিয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও চুল কম হোক বা বেশি, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মায়ের শরীরে ক্যালশিয়াম বা কোনও হরমোনের পরিমাণ কম থাকলেও কম চুল নিয়ে একেবারে ন্যাড়া মাথাতেও জন্মাতে পারে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এতেও ভয়ের কিছু নেই। শিশুর এক বছর হওয়া পর্যন্ত এমনিও চুলের পরিমাণ কম থাকে। মায়ের শরীরে পর্যাপ্ত আয়রনের অভাব ঘটলে চুল গজাতে বেশ দেরি হয়। শিশুদের ৬ মাস বয়স পর্যন্ত চুল ঝরেও অনেক বেশি পরিমাণে। অর্থাৎ, জন্মের সময় চুল থাকল কি না থাকল, তার উপর নির্ভর করে না পরে সেই শিশুর চুল হবে কি না।