ক্যাটরিনা কইফ। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি পর্দায় না থাকলেও, সব সময় চর্চায় থাকেন ক্যাটরিনা কইফ। কখনও শিরোনামে উঠে আসে ভিকি কৌশলের সঙ্গে তাঁর সংসার জীবন, আবার কখনও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে নায়িকার ডায়েট এবং ফিটনেস নিয়ে চর্চা চলে সবচেয়ে বেশি। মাঝেমাঝে নিজেই ডায়েট বদলে ফেলেন ভিকি-ঘরনি। দিন কয়েক আগেই তাই পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহের কাছে গিয়েছিলেন ক্যাটরিনা। নায়িকাকে কী পরামর্শ দিলেন, সেটা খোলসা করেছেন শ্বেতা।
তাঁর কথায়, ‘‘ক্যাটরিনা স্বাস্থ্য নিয়ে অত্যন্ত সচেতন। নিয়মের এ দিক-ও দিক হতে দেন না। কোন নিয়ম মানলে ফিট থাকা যায় সে ব্যাপারে ক্যাটরিনা ওয়াকিবহাল। আমি ওঁকে কিছু বিকল্প খাবারের খোঁজ দিই, যেগুলি খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হবে না।’’ পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, ক্যাটরিনার সারা দিনের ডায়েটে থাকে দুটো মিল। প্রতি দিন কিশমিশ, মৌরি, খেজুর খান ক্যাটরিনা। চরিত্রের প্রয়োজনে দ্রুত ওজন ঝরাতে তরল ডায়েটও করতে হয়। তখন আমলার রস, লাউয়ের রস, ধনেপাতার রস খেয়েই থাকেন ক্যাটরিনা।
পুষ্টিবিদের পরামর্শে প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর খাবার খান নায়িকা। পেট খালি রাখেন না। শুটিংয়েও বাড়ির খাবার খান। পুষ্টিবিদের মতে, ক্যাটরিনার এমন ছিপছিপে গড়নের অন্যতম রহস্য হল দিনে দু’বার খাওয়া। এতে শরীরে পুষ্টিগুণ পর্যাপ্ত পরিমাণে যায়। হজমশক্তিও বৃদ্ধি পায়। আর হজম ঠিকঠাক থাকলে ওজন হাতের মুঠোয় রাখা কোনও ব্যাপার নয়। দু’বার খাবার খাওয়ার রয়েছে আরও অনেক সুবিধা। দু’টো মিলের মাঝে ৬ ঘণ্টার ফারাক থাকছে। ফলে খাবার হজম করা, শরীরের পুষ্টিগুণ শোষণ, ঘুম— সব কিছুই অত্যন্ত সুষ্ঠু ভাবে হতে পারে। পুষ্টিবিদের মতে, যদি দিনে দু’বার খেতে হয়, সে ক্ষেত্রে সকালের খাবার একটু দেরি করে খাওয়াই শ্রেয়। আর দ্বিতীয় মিল সন্ধে নাগাদ খেয়ে নেওয়া জরুরি। ক্যাটরিনা নিজেও তাই করেন। দুটো মিলের ডায়েট কার্বোহাইড্রেটের প্রতি নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেয়। কার্ব কম খেলেও চলে।