প্রতীকী ছবি।
পুজো এসেই গেল। ভালমন্দ খাওয়াও শুরু হয়ে গেল। মহালয়া উপলক্ষে বাড়িতেও পোলাও-মাংস রান্নার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রোজের হিসাব মতোই তেল বাদ। মাংস হচ্ছে একেবারেই তেল ছাড়া। পোলাওয়েও প্রায় ঘি পড়ছে না বললেই হল। পুজোর আগে শরীর ঠিক রাখতে হবে যে!
কিন্তু শরীর ঠিক রাখার জন্যই যে একটু তেল-ঘি প্রয়োজন। সে কথা জানা নেই কি?
পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন, মাপ করে ঘি খেলে তা কখনও স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না। বরং কিছু প্রয়োজনীয় রসদ জোগায়। তেল-ঘিতে থাকে চর্বি। তা অধিকাংশেই বাদ দিতে চান স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চেয়ে। কিন্তু বিষয়টি হল কিছু চর্বি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। সে সবও থাকে তেল-ঘিতে। ফলে একেবারে তেল-ঘি ছেড়ে দিলেও নানা ভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
তেল ও ঘিতে মোনোস্যাচুরেটে়ড ফ্যাটও থাকে। তা শরীরের উপকার করে। এ ছাড়াও ঘি হল ভিটামিন কে-র উৎস। ভিটামিন ই এবং নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও থাকে এতে। তার প্রভাবে চোখ যেমন ভাল থাকে, যত্ন হয় হাড় এবং হৃদ্যন্ত্রেরও। প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে ঘি ও তেলে। এতে উপস্থিত ফ্যাট দূরে রাখতে পারে ক্যানসারের ঝুঁকিও।
ফলে মহালয়ার পেটপুজো হকো, কিংবা পুজোর খাওয়াদাওয়া— কয়েকটি দিন অল্পবিস্তর তেল-ঘি দেওয়াই যায় রান্নায়। তবে তা যেন কোনও ভাবেই মাত্রা না ছাড়ায়, সে দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।