আমরা যারা চিকেন লাভার, তাদের মধ্যে চিকেন ৬৫-এর নাম শোনেনি বা চেখে দেখেনি এমন খুব কমই আছে। এমন কোনও রেস্তোরাঁ নেই যারা চিকেনের এই আইটেমটা বানায় না। কিন্তু চিকেনের সঙ্গে কেন এই নম্বর দেওয়া হয়েছে, কেনই বা একে ৬৫ বলে ডাকা হয় জানেন কি? আসুন জেনে নিই চিকেন ৬৫-এর জন্ম কাহিনি।
এটা মূলত চেন্নাইয়ের একটি রেসিপি। স্পাইসি ডিপ ফ্রায়েড চিকেন। ১৯৬৫-এ চেন্নাইয়ের বুহারি রেস্তোরাঁয় এর জন্ম হয়। জন্মদাতা রেস্তোরাঁরই মালিক এ এম বুহারি। চিকেনের রেসিপি নিয়ে নানা রকম গবেষণা করা হতো বুহারির রেস্তোরাঁয়। একে একে তারা তৈরি করে চিকেন ৭৮, চিকেন ৮২, চিকেন ৯০। এদের জন্ম সাল যথাক্রমে ১৯৭৮, ’৮২ এবং ’৯০। এটাও শোনা যায় যে, নতুন বছরে বুহারির হোটেলে কয়েক জন অতিথি এসেছিলেন। তাঁদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে চিকেনের একটি রেসিপি বানান হোটেলরই এক শেফ। সেটি খাওয়ার পর অতিথিরা আপ্লুত হয়ে আইটেমটির নাম জিজ্ঞাসা করেছিলেন বুহারিকে। কী বলবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। আসলে আইটেমটির কোনও নামই ছিল না। সালটা যেহেতু ১৯৬৫ ছিল এবং নতুন বছর হঠাত্ই বুহারির মাথায় নামটা চলে আসে। তত্ক্ষণাত্ তিনি চিকেনের সঙ্গে সাল জুড়ে নাম দেন চিকেন ৬৫। পরবর্তী কালে ওই আইটেমটির নাম আর পরিবর্তন হয়নি। আজ চিকেনের এই রেসিপি চেন্নাই মুলুক থেকে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছে।
আবার এর অন্য কাহিনিও আছে। বড় বড় রেস্তোরাঁগুলোর মতে, প্রতি কেজি চিকেনের সঙ্গে ৬৫টি লঙ্কা দেওয়া হয় বলেই এর নাম হয়েছে চিকেন ৬৫। আবার কেউ কেউ দাবি করেন, আইটেমটি তৈরি করতে ৬৫টি উপকরণ ব্যবহার করা হয় বলেই একে চিকেন ৬৫ নামে ডাকা হয়।
আরও পড়ুন...