একটা রঙে জোর দিয়ে আরও ২-৩টে রং নিয়ে খেলতে পারেন। ছবি: সংগৃহিত
অন্দরসজ্জায় নানা রকমের রং দেখতেই আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু যদি একটাই রং বেছে নিতে হয় ঘরে যাবতীয় খুঁটিনাটিতে তাহলে কেমন হয়? অনেকেই এখন এভাবে ঘর সাজানোর কথা ভাবছেন। এটাকে বলা হয় ‘মনোক্রোম ইন্টিরিয়র’।
সহজ ভাষায় বলতে হলে যে কোনও একটা রঙের আধিক্য থাকবে ঘরে। ধরুন আপনি সাদার উপর বেশি জোর দিতে চান। তাহলে ঘরের দেওয়াল বা মূল আসবাব যদি সাদার বিভিন্ন শেডের হয়, তাহলে কিছু কিছু জিনিস কাল বা ধূসরের নানা শেড হতে পারে।
আসবাব রাখুন ছিমছাম। ছবি: সংগৃহীত
কেন এ ভাবে সাজাবেন?
১। যে কোনও এক রঙের আধিক্য থাকলে অন্দরসজ্জায় একটা অভিজাত ছোঁয়া আসে।
২। কেতাদুরস্ত অন্দরসজ্জা পাওয়ার জন্য কোনও বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে না। এভাবে সাজালে এমনি অন্যদের থেকে আপনার ঘরের সাজ আলাদা হয়ে উঠবে।
৩। ঘরে ঢুকলে অতিথিদের যেন তাক লেগে যায়, তেমন শৈল্পিক ভাবে ঘর সাজাতে চান। মোনোক্রোম আন্দাজে সাজালে সবচেয়ে কম খরচ তা পাওয়া সম্ভব।
টেক্সচার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন। ছবি: সংগৃহীত
কী ভাবে করবেন
১। গোটা বাড়ি একেবাড়ে এ ভাবে সাজাতে গেলে হঠাৎ করে হিমশিম খাবেন। তাই ছোট কোনও অংশ দিয়ে শুরু করুন। বাথরুম দিয়ে শুরু করা সবচেয়ে সহজ।
২। গবেষণা করুন। কীভাবে একই রং বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করতে হবে তার একটা ভাবনা তৈরি করুন নেটদুনিয়ায় বিভিন্ন ছবি ঘেঁটে। আপনি কি জানেন, সাদারও কত রকম শেড হয়? রং করার সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনা করুন।
যে কোনও ছোট ঘর দিয়ে শুরু করুন। ছবি: সংগৃহীত
৩। খুঁটিনাটির দিকে নজর দিন। রান্নাঘর একটাই রঙে সাজাতে চাইলে ক্যাবিনেটের হাতল থেকে স্পট লাইটিং— ছোটখাটো সবকিছু ভাল করে পরিকল্পনা করুন।
গাঢ় রং নিয়ে খেলতে ভয় পাবেন না। ছবি: সংগৃহীত
৪। হালকা রং বেছেই এই ধরনের পরীক্ষা শুরু করুন। তাতে আপনারই সুবিধে হবে। কিন্তু অভিজ্ঞরা আরও গাঢ় রং নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভয় পাবেন না। যে কোনও একটা গাঢ় রং নিয়ে যদি ঠিক করে খেলতে পারেন, আপনার অন্দরসজ্জায় আসবে এক অভিনব ছোঁয়া।