বিশ্বাসে মিলায় বস্তু! ছবি- সংগৃহীত
বয়স ৩২ বছর। এত কাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা অ্যালোরা ক্যাম্পবেল এক জন পুরুষকেও চুম্বন করেননি। নিজে থেকে আগ্রহী হয়ে, পরিকল্পনা করে দেখা করতে যাননি কারও সঙ্গে।
এ যেন ঠিক রাজা গসনেল পরিচালিত এবং ড্রিউ ব্যারিমোর অভিনীত ‘নেভার বিন কিস্ড’-এর চরিত্র জোসি গেলার। যদিও সেখানে জোসি তাঁর ইংরেজি শিক্ষক, স্যাম কওলসনের শেক্সপিয়র পড়ানো দেখে ভেসে গিয়েছিলেন প্রেমের জোয়ারে। মাঝে জল বয়ে যায় বহু দূর। শেষে জোসি জানায়, সে এর আগে কোনও দিন কাউকে চুম্বন করেনি। কিন্তু স্যমের জন্য তার ভালবাসা নিখাদ। তাই সকলের সামনে বেসবল খেলার মাঠে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবেন যত ক্ষণ না স্যাম আসছে। অপেক্ষা করতে করতে ঘড়ির কাঁটা যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, ঠিক সেই সময়ে আবির্ভাব ঘটে স্যামের এবং তাঁদের বহু প্রতীক্ষিত সেই চুম্বন চলে দীর্ঘ সময় ধরে।
প্রেক্ষাপট ছিল তেমনই। ভেবেছিলেন, তাঁর পছন্দের রাজপুত্তুর নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও আছেন, আসবেন পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চড়ে। সেই অপেক্ষায় বার বার নানা রকম ডেটিং অ্যাপ ডাউনলোড করেও সরিয়ে ফেলেন অ্যালোরা। তিনি বলেন, “আমি ভাবতাম, মেয়েদের জীবনে সব সময়ে সিনেমার মতো এমন মিষ্টি কিছু হয়। কিন্তু আমার সঙ্গে কখনও এমনটা ঘটেনি। তাই মনে হত, আমার মধ্যে নিশ্চয়ই কোনও সমস্যা আছে।”
অ্যালোরার পরিবারের তরফে জানানো হয়, তাঁর এই কল্পনার জগৎ এবং কাল্পনিক চিন্তাভাবনা নিয়ে পরিবারে নানা রকম সমস্যা হয়েছে। বিয়ের কথা বললেই তিনি নানা রকম কথা বলতেন। ভালবাসার উপর থেকে এক রকম আস্থাই হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তাই ঘুরে বেড়ানো এবং পেশা নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন অ্যালোরা।
কিন্তু শেষমেশ তাঁর সেই ইচ্ছা পূর্ণ হল হঠাৎ এক আগন্তুকের আগমনে। ‘নেভার বিন কিস্ড’-এর চরিত্র জোসির মতো করে না হলেও, চুম্বন কিন্তু হয়েছিল।