নিম করোলি বাবাকে অনেকেই চমৎকারি বাবা বলে থাকেন। ছবি: সংগৃহীত।
আধ্যাত্মিকতার খোঁজে মাঝেমধ্যেই বৃন্দাবনে নিম করোলি বাবার আশ্রমে ছুটে যান বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মা। এক দিনের ক্রিকেটে বিরাটের একের পর এক সেঞ্চুরি করার পিছনে হাত রয়েছে এই নিম করোলি বাবার, এমনও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে নেটপাড়ায়। তবে কে এই বাবা? কেনই বা তাঁর কাছে ছুটে যান তারকা দম্পতি?
নিম করোলি বাবাকে অনেকেই চমৎকারি বাবা বলে থাকেন। তিনি একজন আধ্যাত্মিক সাধু, মহান গুরু এবং দিব্যদৃষ্টিসম্পন্ন বলেও অনেকে মনে করেন। অনেকে আবার তাঁকে হনুমানজির অবতারও বলে থাকেন। বাবা ইতিমধ্যেই হনুমানজির ১০৮টি মন্দির তৈরি করেছেন। এই নিম করোলি বাবার আসল নাম হল লক্ষ্মীনারায়ণ শর্মা। উত্তরপ্রদেশের আকবরপুরে তাঁর জন্ম। শোনা যায়, মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বাবা যাবতীয় জ্ঞান-বিদ্যা অর্জন করে ফেলেছিলেন। তাঁর ভক্তরা তাঁকে মহারাজজি নামেই ডাকেন। শুধু মাত্র ভারতই নয়, বিদেশের অনেক বড় তারকাও তাঁর সান্নিধ্যে আসেন। এই তারকাদের তালিকায় রয়েছেন স্টিভ জবস, জুলিয়া রবার্টস ও মার্ক জুকেনবার্গের মতো ব্যক্তিত্বও।
মাত্র এগারো বছর বয়সে বাবা-মায়ের ইচ্ছের কারণে বিয়ে হয় মহারাজজির। তবে বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই সাধু হওয়ার জন্য সংসারজীবন ত্যাগ করেন তিনি। পরে অ্বস্য বাবার অনুরোধে ফের সংসার জীবনে ফেরেন তিনি। দু’টি পুত্র ও একটি কন্যাসন্তানের বাবা হন তিনি। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকেই তাঁর কাছে বিদেশি ভক্তদের সমাগম শুরু হয়। তিনি আজীবন ভক্তিযোগের অনুশীলনকারী। জীবসেবাই ভগবানের সান্নিধ্যে থাকার সহজতম উপায়, এই মতেরই প্রচার করেন তিনি। নিম করোলি বাবা বলেন, ‘‘সংযুক্তি ও অহংবোধ ঈশ্বর উপলব্ধির সবচেয়ে বড় বাধা।’’
১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিম করোলি বাবা মারা যান। ছবি: সংগৃহীত।
হলিউড অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টসও এই বাবার এক বড় ভক্ত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ভারতে নিম করোলি বাবার ছবি দেখে আমার অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়। আমি জানতামও না, কে তিনি। অজানা এক কারণে ওনার প্রতি আকৃষ্ট হই আমি। নিম করোলি বাবার জন্যই আমি হিন্দু ধর্মের প্রতিও টান অনুভব করি।’’
১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিম করোলি বাবা মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ভক্তরা ভারত ও আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বাবার আশ্রম তৈরি করেন। সেই সব আশ্রমেই ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ ভক্ত।