মিমি চক্রবর্তী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
বাঙালি বাড়ির গিন্নি। কথাটি শুনলে ঠিক কেমন সাজ মনে পড়ে? লাল পেড়ে সাদা শাড়়ি। আর?
সঙ্গে গা ভর্তি গয়নাও তো চাই, তাই না? কেমন হবে সে সব গয়না? গয়নার জাত হওয়ার কথা নয়। তবে অঞ্চল ভিত্তিক রান্নাবান্নার মতো আঞ্চলিক সাজ তো রয়েছে। তাই বাঙালির সাজ সম্পূর্ণ করতে চাই মানানসই অলঙ্কারও। যেমন বছর শুরুর দিনটায় দেখা গেল অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। শুধু শা়ড়ি নয়, কান-গলা-হাতেও দিয়েছেন সমান নজর। কানের দুলটি বিশেষ ভাবে চোখ টানতে বাধ্য।
তা থেকেই আসা যাক বাঙালিয়ানার কান-কথায়। মিমির কানে একটা মস্ক বড় পাশা। লোকে বলে, এই গয়নাই হল মন-প্রাণে বাঙালি। ইংরেজরা আসার পরে, সংস্কৃতিতে নানা মিশেল ঘটেছে। গয়নাতেও পড়েছে তার প্রভাব। তবে একটা বড়সড় কান পাশার সঙ্গে কোনও ঝুমকো বা কান বালা এখনও পাল্লা দিতে পারে না বাঙালিয়ানায়। শোনা যায়, অভিজাত বাঙালি নারীদের পছন্দের অলঙ্কারের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিল কান পাশাই। পরবর্তী কালে নানা অঞ্চলের প্রভাব পড়েছে বাঙালি গয়নাতেও। সেখান থেকেই রকমারি দুলের আবির্ভাব। তবে নিটোল বাঙালি রূপসীর সাধারণ ঢঙে পরা শাড়ি, মাথায় খোঁপার সঙ্গে যে একটা সুন্দর পাশা বেশ মানানসই, তা বুঝতে ইতিহাস জানতে হয় না। চোখ মেলে চারপাশটা দেখলেই যথেষ্ট।
নববর্ষ উপলক্ষে মিমির সাজ আবারও সকলকে মনে করাল, কানের পাশাতেও জড়িয়ে আছে বাঙালিয়ানা। সে কথা ভুললে চলে না!