বিরাট, কার্তিক এবং ক্রিস। ছবি: সংগৃহীত
পরিষ্কার করে দাড়ি কেটে ফেলার দিন এখন অতীত। ছেলেরা পছন্দ করেন যত্ন নিয়ে তৈরি দাড়ি। একেকটা সাজ একেক রকম। কেউ ফ্রেঞ্চ কাট, কেউ লম্বা দাড়ি আবার কেউ ইচ্ছা করেই এলোমেলো দাড়ি রাখেন। আপনিও কি ভাবছেন দাড়ি রাখবেন? কিন্তু বুঝতে পারছেন না, কী ধরনের দা়ড়ি দিয়ে শুরু করবেন? প্রিয় তারকার মতো সাজবেন নাকি? তারকাদের মধ্যে কোন ধরনের দাড়ি এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, দেখে নিন।
বিরাট
বিরাট কোহলি
এই মুহূর্তে ছেলেরা সবচেয়ে বেশি বিরাটের দাড়িই নকল করছেন। বিরাট কোহলি তো শুধু ক্রিকেট-তারকা নন, তিনি ফ্যাশন আইকনও বটে। তাঁর সাজের ধরন, তাঁর শরীরচর্চার রুটিন, তাঁর ডায়েট— সবই খুঁটিয়ে লক্ষ্য করেন নেটাগরিকরা। তাঁর সযত্নে রাখা দাড়ির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তবে এই ধরনের দা়ড়ি রাখতে গেলে রোজই দাড়ির পিছনে সময় দিতে হবে। ট্রিম করতে হবে মন দিয়ে।
কার্তিক
কার্তিক আরিয়ান
দাড়ি নিয়ে ভালই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন কার্তিক আরিয়ান। কখনও খুব সরু করে কাটা, কখনও একদম পরিষ্কার, কখনও ছোট ছোট আবার কখনও এক মুখ দাড়ি। কার্তিকের অনুগামীদের সংখ্যা কম নয়। তাঁরা অবশ্য প্রত্যেকটা দাড়ির সাজই পছন্দ করেন। আপাতত এক মুখ দাড়ি দিব্যি চলছে। যাঁরা রোজ দাড়ির পিছনে বেশি সময় দিতে চান না, তাঁরা এই সাজ রাখতে পারেন।
ক্রিস
ক্রিস হেমসওয়ার্থ
মার্ভেলের দুনিয়ার থরকে কে না পছন্দ করেন। মহিলারা যেমন ক্রিস হেমসওয়ার্থকে নিয়ে পাগল তেমনই পুরুষরা তাঁর দাড়ি নিয়ে। ক্রিস যত সহজে ‘স্টাব্ল’ রাখেন, তত সহজেই এক মুখ দাড়ি সামলান। ছোট-বড় সব দাড়িতেই দারুণ মানায় ক্রিসকে। অনুগামীরা অনেকেই সালোঁয় গিয়ে তাঁর বিভিন্ন দাড়ির সাজ দেখিয়ে বলেন, এই ভাবে দাড়ি কেটে দিন। আপনারও যদি থরের মতো ‘গ্রিক গড’ হওয়ার ইচ্ছে হয়, তা হলে আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
জেসন
জেসন মামোয়া
‘গেম অফ থ্রোন্স’ বলুন কিংবা ‘অ্যাকোয়াম্যান’, জেসন মামোয়া বলতে অজ্ঞান অনেকেই। মেয়েরা জেসন বলতে পাগল। আর ছেলেরা তাঁরা মতো দাড়ি রাখার জন্য পাগল। কিন্তু কায়দা করে কাটা লম্বা দাড়ি রাখা বেশ ঝক্কির। দাড়ির যত্ন নিতে হবে চুলের মতোই। দাড়িতে বিশেষ তেল লাগানো, শ্যাম্পু-কন্ডিশনিং করা, মন দিয়ে ট্রিম করা আপনার নিত্য দিনের রূপ-রুটিনের অংশ করে নিতে হবে। যদি দাড়ির পিছনে এতটা সময় দিতে রাজি থাকেন, তবেই এই পথে এগোন।
ধোনি
এম এস ধোনি
ধোনির দাড়ির জনপ্রিয়তা কম নয়। ধোনি নানা সময়ে নানা রকম দাড়ি রেখেছেন। গত কয়েক বছর ধরে কাচা-পাকা দাড়ি রাখছেন। যদি তেমন পরিণত সাজ আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়, তা হলে এই রকম দাড়ি রেখে দেখতে পারেন। দাড়ি পেকে গেলে বার বার রং করার ঝামেলা কমে যায়। তবে যতটা এলোমেলো দেখতে লাগছে, ততটা অনায়াশে এই চেহারা রাখতে পারবেন না। এই ধরনের দাড়ির পিছনেও খানিক যত্নের প্রয়োজন।