Blue Java Banana Benefits

রাসায়নিক দিয়ে পাকানো নয়, নীল রঙের কলার স্বাদ ঠিক যেন ভ্যানিলা আইসক্রিমের মতো

১৯২০ সালে হাওয়াইয়ে প্রথম এই কলার খোঁজ মেলে। নীলচে সবুজ রঙের এই কলা মুখে দিলেই যেন মাখনের মতো গলে যায়। না কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করে এই রং করা হয় না। প্রকৃতিক উপায় এই ফলের ফলন হয়। কোথায় পাওয়া যায় এমন কলা?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩৬
Share:

নীল কলার স্বাদ পেতে কোথায় যেতে হবে? ছবি: সংগৃহীত।

নীল রঙের কলা হয়, এ কথা শুনেছেন কখনও? তবে নামের জন্য নয়, এই কলা কিন্তু স্বাদের জন্য বেশি জনপ্রিয়। ব্লু জাভা কলার স্বাদ নাকি একেবারে ভ্যানিলা আইসক্রিমের মতো। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ফিলিপিনস আর ফিজিতে এই রকম নীল কলার খোঁজ পাওয়া যায়। সমাজমাধ্যমে এই রঙের কলা ঘিরে বেশ হইচই শুরু হয়েছে।

Advertisement

১৯২০ সালে হাওয়াইয়ে প্রথম এই কলার খোঁজ মেলে। নীলচে সবুজ রঙের এই কলা মুখে দিলেই যেন মাখনের মতো গলে যায়। কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করে এই রং করা হয় না। প্রকৃতিক উপায়েই এই ফল হয়।

ব্লু জাভা কলা কিন্তু ঠান্ডা প্রতিরোধ করতেও সক্ষম। মাইনাস ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও এই প্রকার কলা জন্মায়। যেখানে হলুদ কলা শুধুমাত্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় পরিবেশে জন্মাতে পারে, নীল জাভা কলার লন কিন্তু ১, ৮০০ মিটার উচ্চতাতেও ভাল হয়।

Advertisement

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যে ভাবে চোখে পড়ছে, তাতে এই ধরনের কলার ফলন বাড়বে বলেই আশা হরা যায়। এই নীল জাভা কলা ইতিমধ্যেই অনেকের কাছে আগ্রহের বিষয়। দিন দিন এর জনপ্রিয়তা এত বাড়ছে যে, এর বীজ আমাজন বা অনলাইনে অন্যান্য ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাচ্ছে। আইসক্রিমের মতো স্বাদের জন্য এই কলা আইসক্রিম কলা নামেও পরিচিত।

এই কলা কিন্তু সাধারণ কলার তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর। এই কলা প্রোটিনে ভরপুর। খেলে মন চাঙ্গা হয়। এতে থাকা ভিটামিন ডি ৬ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও রেহাই পেতে এই কলা খান অনেকেই। অ্যানিমিয়ার রোগীদের জন্যও এই কলা বেশ কার্যকর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement