ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখার দায়িত্ব এই প্ল্যাটফর্মগুলির উপরই বর্তায়। ছবি- সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ফোন নম্বর থেকে কল করে ভারতে জালিয়াতি রুখতে সরকারি হস্তক্ষেপের পরেই কঠোর পদক্ষেপ করেছে হোয়াট্সঅ্যাপ নিয়ন্ত্রণাধীন মেটা। তারা জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘এআই’ এবং মেশিন লার্নিং ‘এমএল’ প্রযুক্তির কার্যকারিতা আরও উন্নত করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে আন্তর্জাতিক নম্বরের মাধ্যমে হওয়া জালিয়াতির মোকাবিলা করা সম্ভব। দেশে বর্তমানে হোয়াট্সঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪৮ কোটি ৭০ লক্ষ। ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হোয়াট্সঅ্যাপ-এর মতো জনপ্রিয় একটি মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ফাঁদ পাতছে জালিয়াতরা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে ফোন এবং মেসেজ করা হচ্ছে হোয়াট্সঅ্যাপে। এই ফোনগুলি আসছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে। তাই নম্বরের শুরুতে যদি ৮৪, ৬২ এবং ৬০ থাকলে, সেই ফোন তুলতে নিষেধ করা হয়েছে। এই ফোন নম্বরগুলির শুরুতে ভিন্ন দেশের কোড থাকার মানে এই নয় যে, ফোনের উৎস আসলে সেই দেশ। এই ধরনের জালিয়াতির জাল অনেক দূর বিস্তৃত। সংস্থার তরফেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে গ্রাহকদের তিনটি নম্বর থেকে ফোন এলে না ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, নম্বরটিগুলি ‘ব্লক’ করে, সংস্থার কাছে ‘রিপোর্ট’ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক রিপোর্টে সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “নতুন এই ব্যবস্থায় ভুয়ো কলিং অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ কমে আসবে। বর্তমানে যে ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে তা-ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি। হোয়াট্সঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে আমরা নিরলস পরিশ্রম করে যাব।” ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখার দায়িত্ব এই প্ল্যাটফর্মগুলির উপরই বর্তায়। কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন যে, “এই ধরনের ভুয়ো ফোন এবং জালিয়াতি রুখতে সংস্থাকে নোটিস পাঠাবে মন্ত্রক।”