প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বোধহয় দুধ খাওয়ার চল রয়েছে। দুধে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি-র মতো নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। বেশির ভাগ মানুষই গরম দুধ খেতে পছন্দ করেন। তবে কেউ কেউ ঠান্ডাও খেয়ে নেন। স্বাস্থ্যের পক্ষে কোনটা বেশি উপকারি?
গরম দুধ
১। অনেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধ খান। এতে নির্বিগ্নে ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দুধে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় ঘুমের সুবিধা হয়। দুধ গরম করলে এই অ্যাসিডগুলি কার্যকর হয়।
২। ঠান্ডা-গরমে সর্দি-কাশি হলে গরম দুধে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। যাঁদের একটুতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ধাত, তাঁদের জন্যেও গরম দুধ ভাল। দুধে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল কিছু গুণ থাকায় এটি ওষুধের মতো কাজ করে।
৩। অনেক মেয়ের ঋতুস্রাবের সময়ে পেটে যন্ত্রণা হয়। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। গরম দুধে পটাশিয়াম থাকে, যা যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করবে। হলুদ মেশালে শরীর থেকে যাবতীয় বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে।
প্রতীকী ছবি।
ঠান্ডা দুধ
১। অ্যাসিডিটি বা পেটে আলসারের সমস্যা থাকলে গরম দুধ একদমই চলবে না। তার চেয়ে ঠান্ডা দুধ খেলে সমস্যা কমতে পারে। যদি ঠান্ডা দুধে এক চামচ ইসবগুল মিশিয়ে নিতে পারেন, তাহলে সেটা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কাজ করে। বদহজমের সমস্যাও কমে।
২। ঠান্ডা দুধের ক্যালশিয়াম শরীরের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ক্যালোরি বেশি ঝরে। যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা ঠান্ডা দুধ খেলে বেশি উপকার পাবেন। টুকটাক খিদে পেলে দুধ খাওয়া যেতে পারে। তাতে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকবে এবং বারবার অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে।
৩। ঠান্ডা দুধে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট রয়েছে যা শরীরের ডিহাইড্রেশন হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ঠান্ডা দুধ খাওয়ার সেরা সময় সকালবেলা।