Whey Protein

হোয়ে প্রোটিনের খুঁটিনাটি

এটি ‘সম্পূর্ণ প্রোটিন’। জেনে নিন বিশদে

Advertisement

কোয়েনা দাশগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৪১
Share:

সুপারফুড হিসেবে হোয়ে প্রোটিন এখন জনপ্রিয়। পুষ্টিবিদ কোয়েল পালচৌধুরীর মতে, মানবদেহের প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিডের সমন্বয়ে তৈরি এই হোয়ে প্রোটিন দেহের পেশিগুলোকে মজবুত করতে সাহায্য করে। ফলে শারীরিক শক্তি ও ক্ষমতার বৃদ্ধি হয়। রোজের খাদ্যতালিকায় থাকা খাবারের তুলনায় এর মাধ্যমে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা তাড়াতাড়ি মেটে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে দুধ, দই, জল, ফলের রস ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় এই হোয়ে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট। শারীরিক অনুশীলনের আগে বা পরেই সাধারণত এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। হোয়ে প্রোটিন মূলত তিন প্রকারের –

Advertisement

হোয়ে প্রোটিন কনসেনট্রেট: এতে ২৫-৮৯ শতাংশ প্রোটিন থাকে। শারীরিক অনুশীলন যাঁরা সদ্য শুরু করেছেন, তাঁদের জন্য উপযুক্ত।

হোয়ে প্রোটিন আইসোলেট: এতে ৯০-৯৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। ল্যাকটোজ় ও ফ্যাট খুব কম মাত্রায় থাকে।

Advertisement

হাইড্রোলাইজ়ড হোয়ে প্রোটিন: উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি হয় এটি। মূলত শিশুদের ফর্মুলা জাতীয় দুধে এই হাইড্রোলাইজ়ড হোয়ে প্রোটিন ব্যবহার হয়।

উপকারিতা

অন্যান্য প্রোটিনের তুলনায় এর উপকারিতা বেশি। হোয়ে প্রোটিন বয়স বাড়ার ফলে হওয়া পেশির ক্ষয় রোধ করে। ওজন কমাতে, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এর তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। পুষ্টিবিদ কেয়েলের মতে, শরীর কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ে সীমিত পরিমাণ প্রোটিনই গ্রহণ করতে পারে। তাই অবশ্যই পুষ্টিবিদ বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে হোয়ে প্রোটিন। লিভার বা কিডনির সমস্যা থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement