Sports Drink Vs Energy Drink

স্পোর্টস ড্রিঙ্ক আর এনার্জি ড্রিঙ্কে তফাত কী? কোনটি স্বাস্থ্যকর আর কোনটি বেশি খেলেই বিপদ

এই দুই পানীয়ের মধ্যে কিন্তু বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। তফাৎটা অবশ্যই পানীয়টি কী কী উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়েছে তার উপর। কোনটি স্বাস্থ্যকর?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৫
Share:
What is the difference between Sports drink and Energy Drink, which one is healthier

কোন পানীয়টি খাওয়া ভাল, স্পোর্টস ড্রিঙ্ক না কি এনার্জি ড্রিঙ্ক? ফাইল চিত্র।

এনার্জি ড্রিঙ্ক মানেই স্পোর্টস ড্রিঙ্ক ভেবে ফেলেন অনেকেই। অথবা দু’টির মধ্যে তফাতটাই বোঝেন না। অনেক সময়েই দেখবেন, বাবা-মায়েরা না বুঝে ছোটদেরও এনার্জি ড্রিঙ্ক কিনে দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর ভেবে ডায়াবিটিসের রোগীরাও দেদার এনার্জি ড্রিঙ্ক খেয়ে ফেলছেন। এই দুই পানীয়ের মধ্যে কিন্তু বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। তফাতটা অবশ্যই পানীয়টি কী কী উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। স্পোর্টস ড্রিঙ্ক অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর, কিন্তু এনার্জি ড্রিঙ্ক মোটেও তা নয়।

Advertisement

কোন পানীয়ে কী কী থাকে?

এনার্জি ড্রিঙ্ক হল শক্তিবর্ধক পানীয়। এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। পাশাপাশি, বয়স্কেরাও এই পানীয় পছন্দ করছেন। শপিং মল, রেস্তরাঁ-হোটেল— প্রায় সর্বত্র আজকাল এনার্জি ড্রিঙ্কসের ছোট-বড় বোতল, ক্যান আপনি চাইলেই কিনতে পারেন। কয়েকটি ব্র্যান্ড ছাড়া দামও তেমন আহামরি নয়।অনেকেই ভাবেন, নরম পানীয় যতটা ক্ষতিকর, তার চেয়ে ঢের ভাল এনার্জি ড্রিঙ্ক। আসলে তা নয়। এনার্জি ড্রিঙ্কে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও ক্যাফিন মেশানো হয়। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর চনমনে হয়ে ওঠে, সতেজ লাগে। তাই এই পানীয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, পরিশ্রমের ফলস্বরূপ শরীরের ক্যালোরি একটা বিশেষ মাত্রায় ক্ষয় ঘটলে তবেই এনার্জি ড্রিঙ্ক খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তার জন্য খেলোয়াড় মহলে এই পানীয়ের কদর রয়েছে। তবে তা পান করা হয় পরিমিত মাত্রায় ও অবশ্যই প্রয়োজন হলে। ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে তবেই। কিন্তু প্রতি দিন যদি কেবল ভাল লাগার জন্যই বোতলের পর বোতল এনার্জি ড্রিঙ্ক কিনে কেউ খেতে শুরু করেন, তা হলে ক্যাফিনের প্রভাবে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাবে। একটি ২৫০-৩০০ মিলিলিটার এনার্জি ড্রিঙ্কের ক্যানে অন্তত ৩২ মিলিগ্রাম বা তার বেশি ক্যাফিন থাকে। তাই এটি খেলে হজমশক্তি দুর্বল তো হবেই, গ্যাস-অম্বল ও অ্যসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা বহু গুণে বেড়ে যাবে। স্থূলতা, দন্তক্ষয়, মাইগ্রেন, ডায়াবিটিসের সমস্যা বাড়বে। অন্তঃসত্ত্বা এবং যে মা স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাঁরা এনার্জি ড্রিঙ্ক খেলে রক্তচাপ বাড়বে, হৃদ্‌রোগের আশঙ্কাও তৈরি হবে। সাময়িক ভাবে চাঙ্গা থাকতে গিয়ে আরও বড় বিপদ ঘনাবে।

স্পোর্টস ড্রিঙ্কে ক্যাফিন থাকে না। খেলোয়াড়েরা এই পানীয়ই বেশি খান। এটির মূল উপাদান হল কার্বোহাইড্রেট। পাশাপাশি থাকে প্রোটিন, ভিটামিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ। শরীরচর্চার আগে ও পরে, ক্যালোরির ঘাটতি মেটাতে এটি পান করার পরামর্শ দেন প্রশিক্ষকেরা। কায়িক পরিশ্রম যাঁদের বেশি করতে হয় অথবা যাঁরা জলশূন্যতার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই পানীয় উপকারী। স্পোর্টস ড্রিঙ্ক বাড়িতেও বানিয়ে নেওয়া যায়। চিনির বদলে জলে মধু, সৈন্ধব লবন, লেবুর রস, ক্যালশিয়াম-ম্যাগনেশিয়াম পাউডার মিশিয়ে তৈরি করা যায় স্পোর্টস ড্রিঙ্ক। এনার্জি ড্রিঙ্কের বদলে স্পোর্টস ড্রিঙ্ক পান করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement