প্রতীকী ছবি।
একাই সন্তানকে বড় করছেন? তা নিয়ে চিন্তাও লেগে থাকে।
এমন অভিভাবকের সংখ্যা এ শহরে অনেক। দিন দিন বাড়ছেও। তবে চিন্তা কমছে না। বারবার মনে হতে থাকে, অন্য অভিভাবকের স্নেহ এবং যত্ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সন্তান। বেড়ে ওঠায় কোনও ঘাটতিও হয়তো থেকে যাচ্ছে।
এ সব দুশ্চিন্তা যেমন অমূলক নয়, তেমন কিছু ভাল দিকও আছে। একজন অভিভাবকের কাছে যে সব সন্তানেরা ব়ড় হয়, নানা দিক থেকে তারা এগিয়েও থাকে। যেমন—
১) লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে বহু ধারণা তাদের মধ্যে কম জন্ম নেয়। একজন অভিভাবকই তার সব রকম চাহিদা, প্রয়োজনের খেয়াল রাখেন। মা হোক, বা বাবা— সব একা হাতেই করতে হয় সন্তানের জন্য। ফলে কোন কাজ ছেলেদের বা কোন কাজ মেয়েদের করতে নেই, এ ধরনের ছুতমার্গ নিয়ে বড় হয় না এই ধরনের পরিবারের সন্তানেরা। তারা দেখে শেখে, যে রান্না করে, সে-ই আবার বাইরের কাজ করে ফেলতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
২) এমন পরিবারের সন্তানেরা সংসারে সাহায্যও করতে শেখে ছোট থেকে। বাবা বা মাকে একা হাতে সব কাজ করতে দেখলে সাহায্য করতেও ইচ্ছা হয়। আবার প্রয়োজনে বাধ্য হন বাবা-মা তারই সাহায্য চাইতে। সেই অভিভাবকের কোনও সঙ্গী থাকলে হয়তো তেমনটা ঘটে না।
৩) মানিয়ে নিতেও শেখে। কারণ ছোট থেকেই তাদের মানিয়ে নিতে হয়। যে সব শিশুরা বাবা-মা দু’জনের কাছে বড় হচ্ছে, তাদের মতো আব্দার করার সুযোগ থাকে না একজন অভিভাবকের কাছে বড় হলে। ফলে তারা মানিয়ে চলার অভ্যাস নিয়েই বড় হয়।