দরকার জীবনধারায় কয়েকটি বদল। ছবি: সংগৃহীত
শুধুমাত্র সুস্থ যৌনজীবনের জন্য নয়, কায়িক শ্রম, চুলের বৃদ্ধি, পেশির পুষ্টি— অনেক কিছুর জন্য পুরুষ শরীরকে নির্ভর করতে হয় টেস্টোস্টেরন হরমোনের উপর। নারী শরীরেও এই হরমোনের ক্ষরণ হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নারীর ক্ষেত্রে তা পুরুষের তুলনায় কম।
বয়স বাড়লে অনেক সময় পুরুষের এই হরমোনের ক্ষরণ কমে। কিন্তু তা ছাড়াও বহু কারণেই অনেক পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে যেতে পারে। কিন্তু জীবনধারায় সাধারণ কয়েকটি পরিবর্তন আনলেই বাড়বে এই হরমোনের ক্ষরণ। রইল তেমনই কয়েকটি পরামর্শ।
রোদে থাকা: টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ স্বাভাবিক রাখার জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দীর্ঘ দিন যে পুরুষরা গায়ে রোদ লাগান না, তাঁদের শরীরে এই হরমোনের ক্ষরণ কমে। ফলে প্রতিদিন কিছুটা সময় রোদে থাকলে ভাল।
মন ভাল রাখা: মানসিক চাপ শরীরে কোর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোনের কারণে বেশি খিদে পেতে থাকে, চর্বির পরিমাণও বাড়ে। কিন্তু তার পাশাপাশি এই হরমোন টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। রক্তচাপও বেড়ে যায় এর ফলে, চাপ পড়ে হৃদযন্ত্রেও। সব মিলিয়ে শারীরিক সম্পর্কের ইচ্ছেটাই কমে যায়।
মাল্টিভিটামিন খাওয়া: মাল্টিভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন ডি টেস্টোস্টেরন ক্ষরণের হার বাড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি এই ধরনের সাপ্লিমেন্টে ম্যাগনেসিয়াম, জিংকের মতো খনিজ থাকে। এগুলিও টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
মদ্যপান ত্যাগ: মদ্যপানের ফলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্যে সমস্যা হয়। যে হরমোনগুলি মন ভাল রাখতে সাহায্য করে, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে সেগুলির ক্ষরণ কমে যায়। টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমে যায় মদ্যপানের কারণে। তাই মদ্যপান কমানোই ভাল এ ক্ষেত্রে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন বাড়তে থাকলে পুরুষদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমতে থাকে। শুধু তাই নয়, এ ছাড়াও আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। ফলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা দরকার পুরুষদের।