জল না দুধ— কোনটি মিশিয়ে বানালে ভাল খেতে হবে স্ক্র্যাম্বলড এগ ছবি:ফ্রিপিক।
সকালের জলখাবারে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগানের জন্য অনেকেই পছন্দ করেন ডিম। সেদ্ধ, পোচ, অমলেট ছাড়াও স্ক্র্যাম্বলড এগ-ও পছন্দ অনেকের। নরম একটু ঘাঁটা ডিমের এই খাবারটির জনপ্রিয়তা তার স্বাদের জন্য।
স্ক্র্যাম্বলড এগ হোক বা অমলেট, ডিমের সঙ্গে দুধ দিয়ে ফেটিয়ে নেওয়ার চল বহু দিনের। কিন্তু কখনও ডিমে জল মিশিয়ে দেখছেন কি! এ কখা শুনে যে কেউ অবাক হতেই পারেন। তবে, ডিমের সঙ্গে জল মেশালেও কিন্তু নরম এবং সুন্দর স্ক্র্যাম্বলড এগ তৈরি করা যায়। ডিম রান্নার সময় তাতে মেশানো জল বাষ্পীভূত হয়। তাতে ডিমটি বেশ হালকা ফোলা এবং ফাঁপা হয়। ডিম নরম রাখতেও সাহায্য করে জল।
তবে কাঙ্ক্ষিত স্বাদ এবং ডিমে নরম ভাব পেতে হলে জল মেশাতে হবে মাপমতো। একটি ডিমের জন্য এক চা-চামচ জল মেশানো যেতে পারে, তার থেকে বেশি নয়। সে ক্ষেত্রে ডিমের স্বাদ নষ্ট হবে।
দুধ দিলে কী হয়?
অমলেট হোক বা ফ্রেঞ্চ টোস্ট কিংবা স্ক্র্যাম্বলড এগ— যে কোনও রান্নাতেই ডিমের সঙ্গে কিছুটা দুধ মিশিয়ে নেওয়া হয়। এতে ডিম নরম থাকলেও স্বাদ খানিক বদলে যায়। খেতে আরও ভাল হয়। দুধে থাকা প্রোটিন ডিমের সঙ্গে মেশায় স্বাদে কিঞ্চিৎ তফাত হয়। তবে নিখাদ ডিমের স্বাদটুকুই শুধু পেতে হলে, দুধ বাদ দিতে হবে। বদলে জল ব্যবহার করতে পারেন। দুধ ব্যবহারেরও মাত্রা আছে। দু’টো ডিমের জন্য ১ টেবিল চামচ দুধই যথেষ্ট।
স্ক্র্যাম্বলড এগে দুধ মেশাবেন বা জল, নির্ভর করবে ব্যক্তিগত রুচি, পছন্দের উপর। অনেকেরই দুধ হজমে সমস্যা থাকে। কেউ কেউ দুধ পছন্দ করেন না। সে ক্ষেত্রে স্ক্র্যাম্বলড এগ বানাতে দুধের বদলে জল ব্যবহার করতে পারেন।