এক প্রসূতির মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে শুক্রবার রাতে বাসন্তীর একটি নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানো হল। মৃতার নাম বন্দনা মণ্ডল (২৬)। তাঁর বাড়ি বাসন্তীর পূর্ব মাঝেরপাড়ায়। তাঁর স্বামী শঙ্কর মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তেরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।
ওই বিকেলে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বন্দনা নার্সিংহোমে ভর্তি হন। মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক বন্দনাকে ‘সিজার’ করা হবে বলে জানান এবং তাঁকে একটি ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়। এর পরেই বন্দনার অবস্থার অবনতি হয়। নার্সিংহোমের পরামর্শমতো বন্দনাকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরেই নার্সিংহোমে কিছু গ্রামবাসী এবং ও মৃতার পরিবারের লোকজন হামলা চালান বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার ওই নার্সিংহোমে গিয়ে দেখা যায়, তালা ঝুলছে। কর্তৃপক্ষের কারও সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। মৃতার ভাই গণেশ হাজরা বলেন, ‘‘ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই দিদি ঝিমিয়ে পড়ে। তখনই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কলকাতায় স্থানান্তরিত করে।’’